তলিয়ে গেছে ৫শ একর ফসলি জমি

4 hours ago 2
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বৃষ্টির পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে আছে। এতে ৫শ একর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় এ পানি নামতে পারেনি। কৃষকরা ফসল রক্ষার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের ফসলের জমিগুলোতে এখন শুধু পানি আর পানি। কমলাপুরসহ চারটি বিল ও পার্শ্ববর্তী মুক্তাগাছা উপজেলার একটি বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় প্রায় ৫শ একর আবাদি জমির ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্লুইস গেটটি সরু ও নিয়মিত না খোলার কারণে পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হচ্ছে না। ফলে আমন ধানসহ মৌসুমি ফসল ডুবে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার এবং অনেক কৃষকের জমি ডুবে আছে। পানি কবে নামবে জানি না। চিন্তায় আছি, এই বছর আমন ধান ঘরে তুলতে পারব কিনা। কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, স্লুইস গেটের রক্ষণাবেক্ষণে আগে যিনি দায়িত্ব পালন করতেন তিনি কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তারপর কেউ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করে না। দায়িত্বপ্রাপ্তরা পানি আটকিয়ে মাছ ধরার কারণে এই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে করে বড়কুড়া, বেকিবিল ও সুনারু বিলের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না করা হলে জমিতে লাগানো রুপা আমন ধানের চারা রক্ষা করা যাবে না।  কৃষক আবু তাহের বলেন, ঋণ করে আমন ধান লাগিয়েছি, আমার সম্পূর্ণ জমির ধান গাছ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা প্রয়োজন। আমাদের কৃষকদের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে।   কৃষক নুরুন্নবী বলেন, স্লুইচ গেট ঠিকমতো না খোলার কারণে দুই বছর ধরে আমন ধান নষ্ট হচ্ছে। স্থায়ীভাবে এর বিহিত করতে না পারলে কৃষি উৎপাদনে ভয়াবহ ক্ষতি হবে। আমরা চাই এর একটি দ্রুত সমাধান হোক।  পুটিজানা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি নিজে সেখানে গিয়েছিলাম। অল্প অল্প করে স্লুইস গেট দিয়ে পানি ছাড়ায় অনেক জমির ধান গাছ পানির নিচে ডুবে গেছে। দ্রুত ফসলি জমির পানি নিষ্কাশন করা না হলে কৃষক বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।  ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি লিখত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত স্লুইস গেটটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
Read Entire Article