বিপিএলের ১১তম সংস্করণের পর্দা নামছে আজ শুক্রবার। গেল ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের মধ্যকার ফাইনালের মাধ্যমে। বরিশালকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম ইকবাল খান। আর বন্দরনগরী চিটাগংয়ের জাহাজের কাপ্তান মোহাম্মদ মিঠুন।
এবারের বিপিএলের শিরোপা উঠবে কার হাতে, কে হাসবেন শেষ হাসি? উত্তর সহজ, যে দলের ক্রিকেট নির্ধারিত দিনে নিজেদের সেরাটা দিতে পারবেন, তারাই জিতবেন ট্রফি।
তবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি অথবা টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় কে হবেন, তার ইঙ্গিত কিছুটা হলেও আগে দেওয়া সম্ভব।
১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট শিকার করেন সবার ওপরে আছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ডানহাতি এই পেসারের দল দুর্বার রাজশাহী শেষ নকআউট পর্বে যেতে পারেনি। বিদায় হয়ে গেছে পঞ্চম স্থানে থেকে। ২০ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানি ফাহিম আশরাফ জাতীয় দলে ডাক পেয়ে দেশে ফেরত গেলেন। যদিও তার দল বরিশাল ফাইনালে উঠেছে।
সমান ২০ উইকেট শিকার করে তৃতীয় স্থানে আছে রংপুর রাইডার্সের আফগান পেসার আকিভ জাভেদ। অর্থাৎ শীর্ষে থাকা তিনজনের কেউই ফাইনালে খেলবেন না।
তাহলে তাসকিনকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কার? উত্তর- চিটাগংয়ের খালেদ আহমেদ। যদিও সেটা কাগজে-কলমে যতটা সহজ, ততটা বাস্তবে নয়।
খালেদের নামের পাশে আছে ২০ উইকেট। যেহেতু তাসকিনের দল রাজশাহী ফাইনালে নেই, তাই ফাইনালে খালেদ ৬ উইকেট পেলেই তাসকিনকে টপকে সর্বাধিক উইকেটশিকারি হবেন।
তাসকিন এক ম্যাচে ১৯ রানে ৭ উইকেট পেয়েছেন। তাই ফাইনালে খালেদ ৬ উইকেট পাবেন না, এমনটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। সব সম্ভবের খেলা ক্রিকেটে নিশ্চত বলে কিছু নেই। তারপরও ফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বরিশালের সঙ্গে খালেদের ৬ উইকেট দখল করা অনেক কঠিন।
বাস্তবিকপক্ষে তাসকিনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মত দুই জন বোলার ছিলেন। দুজনই পাকিস্তানি। একজনের নাম আগেই বলেছি; বরিশালের ফাহিম আশরাফ। অন্যজন রংপুর রাইডার্সের স্পিনার খুশদিল শাহ। ফাহিম আশরাফ নকআউট পর্বের আগে ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট দখল করে জাতীয় দল ডাক পেয়ে পাকিস্তান ফিরে গেছেন। তিনি যদি আগের দুই ম্যাচ খেলতে পারতেন, তাহলে তাসকিনকে টপকে সম্ভবত সর্বাধিক উইকেটশিকারি হতে পারতেন।
একইভাবে খুশদিল শাহও ১০ ম্যাচে ১৭ উইকেট শিকার করে দেশে ফিরে গেছেন জাতীয় দলের ডাকে।
ফাইনালিস্ট দুই দলের বোলারদের মধ্যে চিটাগংয়ের স্পিনার অ্যালিস আল ইসলাম উইকেট শিকারে শীর্ষ আটে আছেন। তার উইকেট ১৩ ম্যাচে ১৫টি। তার মানে ফাইনালে অতিনাটকীয় ঘটনা না ঘটলে রাজশাহীর তাসকিন আহমেদই সর্বাধিক উইকেটশিকারি।
তাহলে টুর্নামেন্টসেরা পারফরমার কে হবেন? রান তোলায় সবার ওপরে খুলনা টাইগার্সের থাকা নাইম শেখ (১৪ ম্যাচে ৫১১ রান) নাকি তাসকিন আহমেদ?
টুর্নামেন্টসেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা অন্যতম হলেন খুলনার সেরা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। খুলনার অধিনায়ক ১৪ ম্যাচে ১৩ উইকেট দখলের পাশাপাশি ৩৫৫ রান করে রান তোলায় আট নম্বরে অবস্থান করছেন।
যদিও অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মিরাজের চেয়ে মোটেই পিছিয়ে নেই রংপুর রাইডার্সের খুশদিল শাহ। ব্যাট ও বল হাতে সমান নৈপুণ্য দেখিয়ে ১০ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ২৯৮ রান করেছেন এ পাকিস্তানি।
নকআউট পর্বের ঠিক আগে দেশে না ফিরলে খুশদিল শাহর আসর সেরা পারফরমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। এখন দেখা যাক, কার ভাগ্যে জোটে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার।
এআরবি/এমএইচ/জিকেএস