দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনীত বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘ফেরেশতে’। নির্মাণের পর থেকেই ছবিটি ঘুরে বেড়িয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে। ইরানের মর্যাদাপূর্ণ ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে মানবিক বার্তার জন্য ছবিটি জিতেছে জাতীয় পুরস্কার।
এছাড়া চলতি বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবেও প্রদর্শিত হয়েছিল ‘ফেরেশতে’। ভারতের গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও হয়েছে প্রশংসিত।
গত তিন বছর ধরে ‘ফেরেশতে’ নিয়ে দর্শক ও সংবাদকর্মীদের নিয়মিত প্রশ্ন শুনতে হতো জয়াকে, ‘কবে দেশে মুক্তি পাবে ছবিটি?’ অবশেষে জানা গেল সেই তারিখ। দীর্ঘ তিন বছর অপেক্ষার পর ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ‘ফেরেশতে’।
ফেরেশতে ছবির দৃশ্যে সহশিল্পীদের সঙ্গে জয়া আহসান
আগামীকাল (১২ সেপ্টেম্বর) এর মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তারিখ এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। হল সংক্রান্ত জটিলতাই ছবিটির মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। তাছাড়া সামনে শুরু হবে পূজার আমেজ। সেই উৎসবে দর্শকরা ছবিটি উপভোগ করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা সিনেমা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন জয়া আহসান। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সেখানে উড়াল দেন। সম্প্রতি এডভেন্ট এক্টর স্টুডিও প্রাইভেট লিমিটেড আয়োজিত গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। ব্যক্তিগত কিছু কাজও সেরে এই সপ্তাহেই ঢাকায় ফিরবেন। দেশে ফিরে নতুন সিনেমার প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন এই তারকা।
ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ‘ফেরেশতে’ সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প। নির্মাতা রিয়েল লোকেশনে শুটিং করে সিনেমাটিকে বাস্তবসম্মত করার চেষ্টা করেছেন। এই কাজকে জয়া বলেছেন ভীষণ চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা। তার ভাষায়, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভেতরে যে সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্র রয়েছে, তাদেরই একজনের ভূমিকায় আমি অভিনয় করেছি। পুরো টিম সহযোগিতা করায় কঠিন শুটিং সুষ্ঠুভাবে শেষ করা সম্ভব হয়েছে।’
ছবির মূল অভিনেতা ও প্রযোজক সুমন ফারুক বলেন, ‘আমরা যেমন বিদেশি সিনেমা দেখে তাদের সংস্কৃতি জানতে পারি, তেমনি ‘ফেরেশতে’ আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির গল্প তুলে ধরেছে। প্রান্তিক মানুষের যে গল্প উচ্চবিত্ত সমাজ সহজে ভাবে না, সেই গল্প বলেছে সিনেমাটি। বিদেশে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছি, এবার আমাদের দেশের দর্শকরা হাততালি দেবেন বলে আশা করছি।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত ‘ফেরেশতে’ এবার কতোটা বাংলাদেশি দর্শকের মন জয় করতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষা।
এদিকে তৃতীয়বারের মতো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত নিযুক্ত হয়েছেন জয়া আহসান। ইউএনডিপির সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করবেন তিনি। জয়া ২০২২ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ছিলেন। এবার তৃতীয় মেয়াদে চুক্তি নবায়ন করেছে ইউএনডিপি। জানা গেছে, আগামী দুই বছর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে থাকবেন জয়া।
এমআই/এলআইএ/জেআইএম