তিন রাতে ৩০ সেচযন্ত্র চুরি, হুমকিতে ৩০০ বিঘা জমির ফসল

2 weeks ago 15

নাটোরের গুরুদাসপুরে তিন রাতে কৃষিজমি থেকে ৩০টি সেচযন্ত্র চুরি যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এসব সেচযন্ত্র (শ্যালো মেশিন) ফসলের ক্ষেতে সেচকাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে ৩০০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শতাধিক কৃষক।

জানা যায়, শুক্র, শনি ও রোববার রাতে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সিধুলী ও উদবাড়িয়া মাঠ থেকে এসব সেচযন্ত্র চুরি হয়। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে থানার সামনে মানববন্ধন করেন কৃষকরা। উদবাড়িয়া গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন মন্টু, আবু তাহের, তৌহিদুল ইসলাম, আনাদুল, তোতা মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান আলী, আসির উদ্দিন, মুনতাজ, আব্দুস সামাদসহ ৩০ জনের ৩০টি সেচযন্ত্র সিধুলী ও উদবাড়িয়া এলাকার ফসলি জমি থেকে চুরি হয়।

কৃষি অফিস জানিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে সেচনির্ভর রসুন, পেঁয়াজ, ধনিয়াসহ শীতকালীন সবজির আবাদ রয়েছে। রবি মৌসুমে প্রতিটি সেচের জন্য বিঘায় ১ হাজার টাকা চুক্তিতে শতাধিক কৃষক সেচযন্ত্র মালিকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। চুরি হওয়া সেচযন্ত্র থেকে জমিতে সেচ দেওয়া হতো। কিন্তু চুরি হওয়ায় মালিক এবং কৃষক উভয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

নাটোরের গুরুদাসপুরে তিন রাতে কৃষিজমি থেকে ৩০টি সেচযন্ত্র চুরি যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা

কৃষক রাজ্জাক, তৌহিদুলসহ অনেকেই জানান, সেচযন্ত্রগুলো চুরি হওয়ার পর সেচের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা। এতে করে ফসল নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। চুরি যাওয়া সেচযন্ত্রগুলো গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের ছিল। একরাতে দুই বিলের আশপাশের ৩০০ বিঘার মধ্যে সব শ্যালো চুরি হয়েছে। কৃষকের পক্ষে তাৎক্ষণিক সেচযন্ত্র কিনে জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা সেচযন্ত্রের জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কৃষকের শ্যালো মেশিন চুরি হওয়ায় সেচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে কৃষকদের থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার অবলম্বন হারিয়ে হতাশায় পড়েছেন কৃষকেরা। তিনি শ্যালো মেশিনগুলো উদ্ধারে পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

রেজাউল করিম রেজা/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article