তিনি চেয়ারম্যান তিনি অধ্যক্ষ, বেতনও তোলেন দুই জায়গার

4 months ago 40

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার ৫ নম্বর গোগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারমান মজিবর রহমান। গোদাগাড়ী প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজেন অধ্যক্ষও তিনি। দুটি অফিসেরই সময় সকাল ৯টা থেকে। তবে তিনি একসঙ্গে দুই অফিসই করেন। বেতনও তোলেন দুই জায়গা থেকেই।

অনুসন্ধানে দেখো গেছে, পরপর দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান। সবশেষ ইউপি নির্বাচনেও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকেই তিনি অধ্যক্ষ। বর্তমানে তিনি গোদাগাড়ী প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ।

সরকারি কর্মকর্তাদের মতো চেয়ারম্যানদেরও নির্ধারিত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সহজে এবং কম সময়ে সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দিয়ে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখা থেকে গত ১৫ মে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে অন্যান্য সেবা প্রদান, গ্রাম আদালত পরিচালনাসহ নানা সেবা দিয়ে থাকেন। জনগণ সাধারণত অফিস সময়ে (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা) ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিয়ে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সহজ এবং যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চেয়ারম্যানদেরকে সরকারিভাবে নির্ধারিত অফিস সময়ে পরিষদে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। কোনো কারণে ইউপি চেয়ারম্যানরা অধিক্ষেত্রের বাইরে অবস্থান কারলে বা অফিসে উপস্থিত থাকতে না পারলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বা প্রয়োজনে জেলা প্রশাসককে অবহিত রাখবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী ইউএনও আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মজিবর রহমান একইসঙ্গে চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ হিসেবে আছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তাকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ বলেন, এমন কিছু হয়ে থাকলে স্থানীয় সরকার আইনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী বলেন, এমনটি করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কেউ ডিজি বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে মজিবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অমি অধ্যক্ষ আমিই চেয়ারম্যান। আমি আগে সকালে কলেজ করি। পরে অফিসে (ইউনিয়ন পরিষদে) আসি। এটা নিয়ে রিট করেছি। দেখা যাক কী হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনে কোনো বাধা নেই। তবে আমি দুই জয়াগার বেতন শুরুতে তুলতাম। পরে আবেদন করেছিলাম। এখন শুধু কলেজের বেতন তুলি। ইউনিয়নের বেতন নিই না।’

সাখাওয়াত হোসেন/এসআর

 

Read Entire Article