যশোরে শার্শায় তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা। ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটি নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এক সপ্তাহে যশোরের তাপমাত্রা কমছে। যা শনিবার ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিন এক থেকে দুই ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শার্শায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ১৫০ হেক্টর। বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১৫৭ হেক্টর। এরমধ্যে এক হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এখনো অনেকে বীজতলা তৈরি করছেন। এতে বীজতলা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেড়ে যাবে।
কৃষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, এখন বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম। কিন্তু শুরুতে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এ অবস্থায় বাজার থেকে পলিথিন কিনে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করছি।
আব্দুল মান্নান নামে আরেক চাষি বলেন, এ বছর আমন আবাদে ফলন কম হয়ে আমরা লোকসানে পড়েছি। তার ওপর বাজার থেকে চড়া মূল্যে পলিথিন কিনে বীজতলা রক্ষা করতে গিয়ে বাড়তি খরচের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনে বোরো আবাদ ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, শীত ও কুয়াশায় ধানের চারায় পানি জমে এবং একই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত কারণে বীজতলা নষ্ট হয়। এজন্য কৃষকদের পুরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. আবু তালহা বলেন, বোরোর ভালো ফলনের জন্য মানসম্মত চারার বিকল্প নেই। এজন্য আমরা আগে থেকে কৃষককে এসব প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষকরাও অভিজ্ঞতার আলোকে বীজতলা পলিথিন দিয়ে রাতের বেলা ঢেকে রাখছেন এবং দিনের বেলায় পলিথিন তুলে নিচ্ছেন।
মো. জামাল হোসেন/আরএইচ/এমএস