তুমিহীন আকাশ
নাই বা হলো একসাথে চলা,
নাই বা হলো আদি অসুখের একান্ত মিলন
কিংবা নিকটে এসে গল্প বলা।
সামনের দৃশ্য চমকিত হয় হৃদমন্দিরে
স্বর্ণের মতো ভারী, দামি—সাথে রাখার ভয়।
যে ভাবনায় সকল বাধা হয়ে যেত শক্তিহীন, নিরুপায়
নিত্যদিনের সংযুক্ত আহ্বান, উড়ন্ত বক ফেলে পালক
ছুট দেয় খোরাকি নেশায়। ব্যয় হয় সকল সঞ্জয়, শক্তির ভবিষ্যৎ।
কী এক খেলা, উপর্যুপরি! বেদনার লাগামহীন ঘোড়া।
মিলনে তীব্রতা, জাগে পুর্নবার ব্যথা
যেমন নিজ আবাসে ফিরে আসে, পোকার দল—
ধ্বংসে, গড়নে
নতুন মিলনে অথবা হাহাকারে স্পর্ধিত হৃদয়।
অথবা চলে আসে তোমার হয়ে সমস্ত প্রত্যাশার
বুনন, একে একে শব্দমালা। তোমায় ভাবার অবকাশ।
ছড়িয়ে পড়ুক সমস্ত অন্তপুরে
তুমিহীন আকাশ—ভাবনার বিকাশে
পিছিয়ে পড়ার প্রয়াস।
যেখানে পড়ে থাকে অভিলাষের নরম ছোঁয়া।
****
তলপেটে!
কত কথা হতো প্রতিদিনের সূচিতে, আড্ডার সমাহারে
ব্যক্ত অনুভূতির ঝলসানো উষ্ণতা বেয়ে যেত
সমস্ত হৃদয়জুড়ে, বলনে-চলনে
ভাবচরণে—থেমে যেত সব গুঞ্জন!
পুনরায় জেগে উঠতো—
বাঁচার অদৃশ্যম, কোলাহলপূর্ণ আবেগ। নিকটত্ব অথবা পরাজয়।
এখনো ফিরে যেতে ইচ্ছা—সেই-সব পুরোনো
ভূমি, স্মৃতিমাখা তল্লাটে—ফিরে যেতে ইচ্ছা—
ঘর্মাক্ত সিটে, অপেক্ষার প্রহরে—মানিয়ে চলার শক্তি।
এখনো ইচ্ছা জাগে—আবার ফিরে আসুক সুখ
অসুখ হয়ে—বিপদ হয়ে—ঝড় হয়ে
ব্যথার মলিন কথারেখায়, সমস্ত হৃদয়জুড়ে।
লিখে দেবে অনন্ত উষ্ণতার সরল—অভিব্যক্তি।
এখনো জাগ্রত হয়, পুরোনো অভ্যাস
নতুন করে বেঁচে-বর্তে থাকার অলস দুপুর
সবটা বিকেল হারিয়ে যাক—গোধূলির তলপেটে।
****
অভিসারে
পথের সকল ধুলা-কালি গড়িয়ে যায়
অজানায়। যেখানে দাঁড়াতে পারে সেখানে ঠাঁই।
অজস্র ছুটন্ত গতি, অবিরাম অগ্রগতি—সামনে
ভয় অথবা জয়। মানুষের কোলঘেঁষে—
মানুষের আশ্রয়
অথবা
প্রতারিত বুদ্ধি।
এভাবে কি সভ্যতা-ভব্যতা এগোয়?
নিশ্চয়তার চেয়ে ভরসা বেশি আগলে রাখে
দূর্বাঘাসের শক্তি মাটির অন্তমূলে, মানুষের হয়ে
মানুষ খেলে, জিতে যায়—অসীম স্পন্দন।
প্রতি শব্দের বিপরীতে জীবনের সংলাপ, অনর্গল
উদ্ভাসিত কথোপকথন—পরাজয়ে কি সব শেষ?
কেউ হঠাৎ চেয়ে দেখলো, পরিচিত
ভঙ্গি পেখম মেলে পাখনায়। জীবন-তো
বাঁচার জন্য ছটফটায় অচেনার বিছানায়—
গোপনে, অভিসারে অথবা নির্লজ্জে।
****
সর্বক্ষণের চাওয়া
কী এক আলগা বাতাস সব দুলিয়ে
দিলো, আয়োজনের দৃঢ়তা ভেসে গেল কোথায়?
আজীবনের প্রতিশ্রুতি থেমে গেল এক নিমেষে
টিকে থাকতে আঁকড়ে ধরা নতুন আলিঙ্গন,
এক নতুন হাত, স্থির বাস, ফিরে আসার ঠিকানা।
পুরোটাই অচেনা!
তবে কেন, এই অস্থিরতা? থিতু না হতে পারার আক্ষেপ
চাপা অভিমান।
নিজেকে দোষী করার বিপুল অভিযোগ।
আমার বিরুদ্ধে আমি, বিপরীতে ছায়া ঘেরা মুখ
জবাবহীন মুখচ্ছবি—নাটকের শেষ অংশের মঞ্চায়ন।
নিঃশেষ, আবার জেগে ওঠে কালবৈশাখী ঝড়ের
মত প্রবল বেগ।
একদিন রাতে, দুহাত বুকের মাঝখানে ব্যথা নিয়ে
ঝাপটে আছে। অধরা ব্যথা, যদি একবার ভেসে উঠতো
চোখের সামনে—নীরবে, নিরালায়। থাকুক এ ব্যথা—
বুকের মাঝখানে, সর্বক্ষণের চাওয়া।
এসইউ/জেআইএম

7 hours ago
6









English (US) ·