তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিক্ষোভ

2 months ago 36

বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেক্সিমকোর কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে তারা এই সড়কে অবস্থান নেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চক্রবর্তী মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা।

মহাসড়কের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিকল্প পথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা তাদের অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা জানান, বেতন পরিশোধ না করলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। যতদিন টাকা না পাবেন, ততদিন বাসায় ফিরবেন না।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, আজকে নিয়ে পাঁচদিন ধরে আন্দোলন করছি। আমরা এখনো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বকেয়া বেতন পাওয়ার কোনো আশ্বাস পাইনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আজ শ্রমিকেরা খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। বহিরাগত কাউকে দেখলেই মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলছেন।

পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন।

তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় ৪১ হাজার কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে সড়ক অবরোধ করে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন। রোববার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। রাতে অবরোধ তুলে নিলেও সোমবার সকাল থেকে পুনরায় ওই সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কর্তৃপক্ষের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সাভার হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগত উল আলম বলেন, নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে শ্রমিকদের আন্দোলন এখনও চলছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, তিনদিন ধরে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তাদের গত মাসের বেতনের জন্য। শ্রমিকদের বেতনের বিষয়টি সরকার বিজিএমই এবং পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই এর সমাধান হবে।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস

Read Entire Article