তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার উপায় খুঁজছেন ট্রাম্প!

2 days ago 16
একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না এমনটাই নির্ধারিত আছে মার্কিন সংবিধানে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই আইন মানতে নারাজ। সম্প্রতি নিজের চিন্তাভাবনার কথা পুনর্ব্যক্ত করে ‘এনবিসি নিউজ’কে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে পারেন।  রোববার (৩০ মার্চ) সকালে ‘এনবিসি নিউজ’কে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মজা করছি না। কিন্তু এটা নিয়ে এখনই ভাবনাচিন্তা করা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে।’  প্রশ্নকর্ত্রী ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তৃতীয়বারের জন্য তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না। প্রশ্নটি কার্যত লুফে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এর জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি আছে যেখানে আপনি এটি করতে পারেন। ট্রাম্পের এই জবাবের মধ্য দিয়ে তিনি যে বিষয়টি নিয়ে সত্যিই ভাবনাচিন্তা করছেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।  সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হতেই ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে তবে কি ট্রাম্প সত্যিই তৃতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন! তবে কীভাবে সাংবিধানিক বিধি ভেঙে তৃতীয়বারের জন্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হবেন, তা স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে অনেক উপায় আছে বলে দাবি করলেও কোনো পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নজিরবিহীনভাবে চার দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। তারপর ১৯৫১ সালে সে দেশের সংবিধান সংশোধন করে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না।  সেই অঙ্ক মাথায় রাখলে জো বাইডেনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করা ট্রাম্পের এটাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ মেয়াদ। তবে ট্রাম্প যেভাবে বারবার পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা উসকে দিচ্ছেন, তাতে এই বিধি বদলে যাবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সাক্ষাৎকারে সঞ্চালিকা ট্রাম্পের সামনে একটি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ফের ট্রাম্পকে উত্তরাধিকার তুলে দিতে পারেন কি না, তা জিজ্ঞাসা করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘ভালো। এটা একটা উপায়। কিন্তু আরও উপায় আছে।’  গত জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প এক সমাবেশে সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, তিনি ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ভোটে লড়তে পারেন কি না। মার্চ মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রশাসনের প্রথম সারির কর্মকর্তাদের সামনেও নিজের এই ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন ট্রাম্প। 
Read Entire Article