তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক আসকর কারাগারে

2 hours ago 2

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ‘নেতৃত্ব দেওয়া ও হাতবোমা ফাটানোর’ অভিযোগে করা মামলায় তেজগাঁও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শিক্ষক এসএম আশরাফুল আলম আসকরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শরিফুল ইসলাম। 

আবেদনে বলা হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে ‘যথেষ্ট প্রমাণ’ পাওয়া যাচ্ছে। এ আসামি কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকা শহরে ঝটিকা মিছিলের ‘নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং মিছিল আয়োজনের অর্থ জোগানদাতা’ বলেও তদন্তে জানা গেছে। তার কাছ থেকে ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে। জামিনে মুক্তি পেলে আসামি পালিয়ে যেতে পারেন।

এ সময় আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী ঈসমাইল হোসেন পাটোয়ারী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আরিফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। 

৬০ বছর বয়সী অধ্যাপক আসকর গাজীপুরের কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ফার্মগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবন এলাকায় আওয়ামী লীগ ঝটিকা মিছিল করে। এ ঘটনায় হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক একেএম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা।

মামলায় বলা হয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন মনিপুরীপাড়ার ২/এ পার্ক টাউন রেস্টুরেন্টের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ মিছিল করেন।

এক পর্যায়ে রাষ্ট্রকে ‘অস্থিতিশীল’ এবং জনমনে ‘আতঙ্ক’ সৃষ্টির জন্য পর পর দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান তারা। পরে ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজনকে আটক করে, বাকিরা পালিয়ে যান।

Read Entire Article