পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া সীমান্তে মো. মানিক (৩৫) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শুকানি সীমান্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মানিক তেতুলিয়া উপজেল দেবনগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে মানিক, আব্দুল হুদাসহ ৩-৪ জনের একটি দল ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতেই ওই সীমান্তে গুলির শব্দ শোনা যায়। তিনদিন পর শনিবার সকালে সীমান্ত নদী করতোয়ার উত্তরের উজান থেকে মানিকের মরদেহ ভেসে আসতে দেখেন স্থানীয় পাথর শ্রমিকরা। পরে তারা বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়।
তিনদিন ধরে নিখোঁজ আব্দুল হুদার স্ত্রী পঞ্চগড় সদর উপজেলার লাঠুয়াপাড়া এলাকার আঁখি আক্তার বলেন, কোন কিছু না জানিয়ে আমার স্বামী সেদিন বাড়ি থেকে বের হন। আমি মনে করেছিলাম, বাজারে গেছে। সেদিন সারারাত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরেননি। গতকাল জানতে পারি সে ভারতে গিয়ে ধরা পড়েছে। আজকে তাকে নিয়ে আসার কথা। কিন্তু বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে দেখা করার অনেক চেষ্টা করেছি। দেখা করতে পারিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইবুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এ সীমান্ত দিয়ে পারাপারের চেষ্টা করে। এর আগেও গরু আনতে গিয়ে এলাকার সুজন নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হন। বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সীমান্তে গুলি করে হত্যা বন্ধ করা উচিত।
তেতুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজির হোসেন বলেন, নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক সুরত হালে মরদেহের মাথায় গুলির মত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর হয়েছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, মরদহ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে কি হয়েছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা ঠিক হবে না।।
এসএইচএ
সফিকুল আলম/এএইচ/জেআইএম