তেরশ্রী গণহত্যা দিবসে ৪৩ শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গণহত্যা দিবস নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোরবেলা তেরশ্রী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শহীদদের স্মরণে দিনটি পালন করেন। পরে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ—দেশের প্রতিটি আন্দোলনে তেরশ্রী গ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিদিন শত শত মানুষ দেখতে আসেন। বক্তারা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তেরশ্রী গণহত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা জাতির কাছে আজও একটি দাবি। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা। এ সময় বক্তব্য দেন জেলা ম
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গণহত্যা দিবস নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোরবেলা তেরশ্রী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শহীদদের স্মরণে দিনটি পালন করেন।
পরে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ—দেশের প্রতিটি আন্দোলনে তেরশ্রী গ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিদিন শত শত মানুষ দেখতে আসেন।
বক্তারা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তেরশ্রী গণহত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা জাতির কাছে আজও একটি দাবি।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা।
এ সময় বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর ইসলাম, ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কোহিনূর মিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিনুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক, সাধারণ সম্পাদক কাজী ওয়াজেদ আলী মিস্টার, পয়লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন মানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তৎকালীন জমিদার সিদ্ধেশ্বর রায় প্রসাদ চৌধুরী, তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানসহ ৪৩ নিরীহ স্বাধীনতাকামী মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে। পাশাপাশি পুরো গ্রামটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা। পাঁচ দশক পরেও সেই বিভীষিকাময় দিনের স্মৃতি আজও এলাকাবাসীকে শিউরে তোলে।
মো. সজল আলী/এনএইচআর/জেআইএম
What's Your Reaction?