ইন্দোনেশিয়ার বড় শহরগুলোতে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়েছেন। দেশটিতে এরই মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা ও সহিংসতায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দুই দশকের মধ্যে এটি দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা। এরপরও দমন-পীড়নের ভয় উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে নেমেছে।
আইনপ্রণেতাদের জন্য বর্ধিত সুযোগ-সুবিধাসহ সরকারের ব্যয় অগ্রাধিকারের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ আগে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। একটি পুলিশ ভ্যানের ধাক্কায় একজন মোটরসাইকেলচালক নিহত হওয়ার পর এই আন্দোলন দাঙ্গায় রূপ নেয়।
একের পর এক রাজনৈতিক দলের সদস্য, এমনকি অর্থমন্ত্রীর বাড়িতেও লুটপাট চালানো হয়েছে। সরকারি ভবনগুলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় এক বছর আগে প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তোর সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটিই তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রোববার প্রবোও আইনপ্রণেতাদের সুযোগ-সুবিধা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা প্রতিবাদকারীদের জন্য একটি বড় ছাড়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে ভারী নিরাপত্তা উপস্থিতির কারণে জাকার্তায় কিছু সংগঠক তাদের সমাবেশ স্থগিত করতে বাধ্য হন।
ইন্দোনেশিয়ার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইয়োগিয়াকার্তা এবং মাকাসার শহরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। মাকাসারেই সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা হয়েছে, যেখানে অগ্নিসংযোগ ও জনতার হামলায় অন্তত চারজন নিহত হন।
মাকাসারের সমাবেশটি স্থানীয় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে অনুষ্ঠিত হয়।
মাকাসার স্টেট ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রনেতা বলেন, প্রেসিডেন্টের গতকালকের বক্তব্যে ছাত্র ও সুশীল সমাজের দাবিগুলো পূরণ হয়নি। শিক্ষার্থীদের আরও গভীর কিছু দাবি রয়েছে, যেমন পুলিশ বাহিনীর ব্যাপক সংস্কার।
এই বিক্ষোভ ও সহিংসতা আর্থিক বাজারকেও অস্থির করে তুলেছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজার খোলার পর ৩ শতাংশ এর বেশি দরপতন হলেও পরে তা কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম