বাড়ির আঙিনায় কলা গাছ দিয়ে বানানো হয়েছে গেট। সাজানো হয়েছে পুরো বাড়ি। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নাচছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। বরযাত্রী পৌঁছানোর পর শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। কনে পক্ষের মোহরানা দাবি করেন ২ কোটি। দর-কষাকষিতে শেষমেষ নির্ধারণ হয় ২ লাখ। ব্যাঙের বিয়ে ঘিরে এই আয়োজন করা হয়।
রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বুড়িশ্বর ইউনিয়নে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। মূলত বৃষ্টির আশায় স্থানীয়রা ব্যাঙের এই বিয়ের আয়োজন করেছেন।
গ্রামবাসীরা মনে করেন, ব্যাঙের বিয়ে দিলে সৃষ্টিকর্তা খুশি হন, তখন বৃষ্টি হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই এ বিয়ের আয়োজন।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে এ রীতি চলে আসছে। আগে এতে কাজ হতো, এখনো আমরা বিশ্বাস করি, ব্যাঙের বিয়ের পর বৃষ্টি হবে।
শিক্ষক অজিত কুমার পাল বলেন, এটা শুধু একটি রীতি নয়, আমাদের ঐতিহ্য। চৈত্র মাসে যখন পানির সংকট দেখা দেয়, তখন গ্রামের সবাই মিলে বৃষ্টির আশায় এই আয়োজন করে। এটি মূলত সম্মিলিত আশার প্রকাশ।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কাজী রবিউস সারোয়ার বলেন, আমরা স্থানীয়দের পাশে আছি। দীর্ঘমেয়াদে পানির সংকট কাটাতে উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি জানানো হবে।