দাওয়াত না দেওয়ায় মাদরাসার খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

13 hours ago 4

বরগুনার আমতলীতে একটি মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভা উপলক্ষে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। তবে দাওয়াত না দেওয়ায় সব খাবার খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য প্রায় ৫০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়। তবে ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী ও সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজীকে দাওয়াত না দেওয়ায় তাদের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী হঠাৎ মাদরাসায় উপস্থিত হন। পরে তারা অতিথিদের জন্য রান্না করা খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত খাবার নষ্ট করে চলে যান।

এ ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজী তার নিজ ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‌‘ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদরাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি ১১-০৯-২০২৫।’

পোস্টের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘পোস্ট করা ছবিটি অন্য একটি জায়গার। মাদরাসায় গিয়ে খাবার খাওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আওয়ামী লীগের লোকজন যাদেরকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তারাই খাবার খেয়েছে।’

দাওয়াত না দেওয়ায় মাদরাসার খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি একেবারেই ঘরোয়া ছিল। রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। মাদরাসার নবগঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা উপলক্ষে দুপুরে প্রায় ৫০ জনের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। পরে ১৫-২০ জন মাদরাসায় এসে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন। পরে অনুষ্ঠানটি কোনো রাজনৈতিক নয়, শুধু কমিটির সদস্য এবং মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে জানালেও তারা অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে যান। এছাড়াও যাতে অন্য কেউ আর খেতে না পারেন, সেজন্য অতিরিক্ত খাবার বিভিন্নভাবে তারা নষ্ট করে ফেলেন।’

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদেরকেও জানিয়েছি। তদন্ত করে এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নুরুল আহাদ অনিক/এসআর/এমএস

Read Entire Article