বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ব্রাকসু) বিশ্ববিদ্যালয় আইনে অন্তর্ভুক্তি ও নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। যতক্ষণ দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততক্ষণ অনশন থেকে পিছু হটবে না বলে জানিয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক বলেন, দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছাত্রসংসদ নির্বাচন। এমনকি কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ৯ দফার অন্যতম ছিল- প্রত্যেক ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু, জুলাই বিপ্লবের এক বছর পেরিয়ে গেলেও আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দৃশ্যমান কিছু দেখতে পাইনি।
ছাত্রসংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রায় তিন মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। আমাদের দাবি ২৫ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
আশিক আরও বলেন, ৩৬ দিনে আমরা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু ছাত্রসংসদের মতো যৌক্তিক বিষয়ের জন্যও আমাদের দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত হতাশার।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নয়ন মিয়া বলেন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির জন্য হাসিনা দানবে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা চাই ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়ে গেলে কোনো নির্বাচিত সরকার আর ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারবে না। তাই আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠবো না।
ছাত্রসংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী সাংবাদিকদের বলেন, আবু সাঈদের সহযোদ্ধাদের দাবি থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এ দাবিকে পজিটিভলি নিয়েছে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির কারণে কাউকে যেনো প্রাণ দিতে না হয়। এ জন্য শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের পক্ষে আমরাও আছি। শিক্ষার্থীরা বেশ উদ্বিগ্ন এ জন্য শুধু কাজটাকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদের জন্য গেজেটের মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাই আমি রোডম্যাপ দিতে পারি না। মহামান্য অনুমোদন দিলে আমরা নভেম্বর মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে পারবো।
ফারহান সাদিক সাজু/আরএইচ/এমএস