প্রায় তিন মাস পর খুলনার বাজারে সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। যা এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু ৪০-৫০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি। অন্যদিকে মাছের দাম এখনো কমেনি।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) খুলনার নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার, নতুন বাজার, গল্লামারি ও খালিশপুর বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঝিঙে ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, বেগুন ১০০-১২০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১৬০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল।
মাছের বাজারে রুই মাছ ৩০০-৩৫০, টেংরা ৫০০-৬০০, পাবদা ৪০০-৫০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৩০-১৬০ টাকা ও লইট্যা মাছ ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে জাটকা ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে এবং এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০-২২০০ টাকায়।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৪০-৪৪ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন-
খুলনায় উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ-স্থানীয়দের সংঘর্ষ
দু’দিন বিরতি দিয়ে বাগেরহাটে ফের নির্বাচন অফিস ঘেরাও
তহবিল সংকটে কক্সবাজার সৈকতে বন্ধ হচ্ছে লাইফগার্ড সেবা
জোড়াকল বাজারে আসা হালিম সরদার বলেন, সবজির দাম ৫-১০ টাকা কেজিতে কমলেও দাম এখনো বেশি। ৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া দুষ্কর। আর মাছের বাজারে চিংড়ি মাছ আর ঘেরের মাছের দামতো এমনিতেই বাড়তি।
গল্লামারি বাজারে আসা তাসমিয়া জেসমিন বলেন, সবজির দামতো শেয়ার বাজারের মতো ওঠানামা করে। সকালে কম থাকলে আবার বিকেলে বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা লাভ যা করার করে নেয়। আমাদের মতো ক্রেতাদের বাজারে আসা এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা কামাল মিয়া বলেন, অনেক সবজির দাম গত সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করেছে। সব সবজি কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। তবে এ সপ্তাহে আবার বৃষ্টি হওয়ায় দাম কমেনি আবার বৃদ্ধিও পায়নি।
গল্লামারি মাছ বাজারের বিক্রেতা আছাদ শেখ বলেন, ঘের ব্যবসায়ীদের খরচ বৃদ্ধি এবং মাছের ফিডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলত খুচরা বাজারে দাম একটু বেশি। ফিডের দাম কমলে পাইকার ও খুচরা বাজারে দাম কমে যাবে।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারের মাছ বিক্রেতা আজাদ শেখ বলেন, মাছের দাম প্রায় ৮-১০ মাস ধরে বাড়তি। দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিক্রিও কম হচ্ছে। চিংড়ি মাছের দাম ৬০০-৭০০ টাকা কেজি শুনলে কাস্টমার ভিড়তে চায় না। মোকামে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বেশি দামেই মাছ কিনতে হচ্ছে।
আরিফুর রহমান/এফএ/এমএস