সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইরানি গণমাধ্যমগুলোর খবরেও এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা আল আরাবিয়ার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে, ভবনের বাইরের অংশে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু জানালা ভেঙে গেছে এবং মেঝেতে এদিক সেদিকে কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
এছাড়া ওই ভবনে থাকা ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি এবং হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর ছবিও টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছে।
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশজুড়ে আনন্দ-উল্লাস করছে সাধারণ মানুষ। অপরদিকে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সামরিক বাহিনীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মেদ আল-জোলানি।
বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও এর মাধ্যমে তার দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে। এরই মধ্যে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। তবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সিরিয়ার দুজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে গেছেন।
- আরও পড়ুন:
- সিরিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেনাবাহিনীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ
- বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলালেন আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী
- দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার আল-আসাদ
যারা এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা বলছেন, এর মাধ্যমে একটি অন্ধকার যুগের অবসান ঘটেছে এবং এক নতুন যুগের সূচনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, রেডিওসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
টিটিএন