চাল আমদানির প্রভাব পড়েছে দিনাজপুরের চালের বাজারে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা কমেছে। এতে নিম্নয়ের মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বন্দরের অভ্যন্তরে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় চালবোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাকে রয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা-৫, সম্পা কাটারি, ৪০/৯৪ (চিকন জাত) ও রত্না চাল। আর চালের মান বন্দরে দেখে কিনছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯-৫০ টাকায়, সম্পা কাটারি ৬৫-৬৭ টাকা, ৪০/৯৪ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। সব চালের মানভেদে দাম কমেছে ৩-৪ টাকা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, ভারত থেকে ১২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৩২৩টি ট্রাকে শুল্কমুক্ত ১ লাখ ২০ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে।
এদিকে শনিবার দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাহাদুর বাচার চালহাটি ও চাল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত পুলহাট এলাকায় মিল গেটে চালের দাম কমেছে ৫০ কেজির বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
আব্দুর রশিদ নামে চাল উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী বলেন, ভারতীয় চাল আমদানি শুরু হওয়ার পর থেকে মিল গেটে চালের দাম কমছে। মনে হচ্ছে চালের দাম আরও কমে যাবে। তবে সুগন্ধি চাল বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় সব ধরনের আতপ চালের দাম বেড়েছে।
শহরের বাহাদুর বাজার চালহাটির ব্যবসায়ী সৌরভ ট্রের্ডাসের মালিক মো. আশরাফ আলী ছুটু জানান, ভারত থেকে চাল আমদানির কারণে দিনাজপুরে সব ধরনের চালের দাম কমেছে কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা। মানে ৫০ কেজির বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০টাকা পর্যন্ত।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু দেশের বাজারে চালের চাহিদা রয়েছে, তাই আমদানিকারকরা যাতে চাল দ্রুত বাজারজাত করতে পারে সেজন্য আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
এমদাদুল হক মিলন/আরএইচ/জিকেএস