গরম প্রায় চলেই এসেছে। এখনই অনেকে এসি ব্যবহার শুরু করেছেন। এসি চালিয়ে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসে। যা মোটেই সুখকর হয় না কারো জন্য। ঘর কতটা বড়, তার উপর নির্ভর করে কিনতে হয় এসি। ঘরের আকার বড় হলে অবশ্যই দেড় টন এসি কেনা উচিত।
জেনে নিন একটি দেড় টনের এসি দিনে ১০ ঘণ্টা চালালে মাসে বিদ্যুৎ বিল কত আসতে পারে-
ধরুন, আপনি ইনভার্টার টেকনোলজির ১.৫ টনের এসি একটানা ১০ ঘণ্টা ব্যবহার করবেন রোজ। ইনভার্টার এসি সাধারণত দ্রুত সময়ে ঘর ঠান্ডা করতে পারে। এটি শুরুতেই বেশি শক্তি ব্যবহার করে চালু হয়। এবং পরে কম্প্রেসর পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে শুধু মোটর এর কাজের গতির পরিবর্তন হয়। শুরুতেই অধিক শক্তিতে কম্প্রেসর চালু হয়ে দ্রুত ঘরকে ঠান্ডা করে।
ইনভার্টার দেড় টন এসি ৮০ শতাংশ এনার্জি কনজিউম অপশনে প্রথম এক ঘণ্টায় ৭০০ ওয়াটের মতো বিদ্যুৎ খরচ করবে। এরপর ৪ ঘণ্টা ৫০০ ওয়াটের মতো বিদ্যুৎ খরচ করে। এরপর ৩ ঘণ্টা ২০০ ওয়াটের মতো বিদ্যুৎ খরচ করবে। তবে এটা বাইরের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করবে। এখানে গড় একটি হিসাব ধরে নিলাম।
৭০০ ওয়াটের হয় তাহলে ১০ ঘণ্টা চললে মোট ১০×৩০ = ৩০০ ঘণ্টা চলবে মাসে। বিদ্যুৎ খরচ দাঁড়ায়, ৭০০×৩০০ ওয়াট বা ঘণ্টা= ২১০,০০০ ওয়াট বা ঘণ্টা। ২১০,০০০÷১০০০ ইউনিট= ২১০ ইউনিট। এবার বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট যদি হয় ৭ টাকা ৫০ পয়সা তাহলে এসির এক মাসে খরচ হবে ২১০×৭.৫০ = ১৫৭৫ টাকা। তবে প্রতি ঘণ্টা হিসাব করলে বিল আরও কম হবে।
এখানে যে হিসাব দেওয়া হলো তা আধুনিক প্রযুক্তির যেসব এসি আছে তার উপর নির্ভর করে। কিন্তু পুরোনো এসি ২০০০-২৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করতে পারে। তাই সেগুলো কিনলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি পড়বে। সেক্ষেত্রে টানা ১০ ঘণ্টা এসি চালালে খরচ হতে পারে ২ হাজারের মতো।
আরও পড়ুন
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকে/এমএস