ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক কার্যক্রম জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশের দাবি, আউটার দিল্লি অঞ্চলে এক বিশেষ অভিযানে ১৭৫ সন্দেহভাজন বাংলাদেশি চিহ্নিত করা হয়েছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) পুলিশের বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানায়।
আউটার দিল্লি এলাকায় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ১২ ঘণ্টার একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিবালয়ের নির্দেশে এই মাসের ১১ ডিসেম্বর থেকেই এ অভিযান শুরু হয়।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রবি কুমার সিং জানান, চলমান অভিযানে এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। কালিন্দি কুঞ্জ ও হজরত নিজামুদ্দিন এলাকা থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তাদের একজন বাংলাদেশের সিলেটের আব্দুল আহাদ এবং অন্যজন ঢাকার মোহাম্মদ আজিজুল।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আউটার ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় যৌথ তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সন্দেহভাজন অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
এর আগে অবৈধ অভিবাসীদের আটক রাখার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ে উন্নত ডিটেনশন সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস জানিয়েছেন, কারাগারে না রেখে এসব অভিবাসীদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে।
ভারত সরকার অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।