দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন মঙ্গলবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাণী পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বাণীতে, ‘ফ্যাসিবাদী শিকড় উপড়ে ফেলার’ এবং ‘সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, অভ্যুত্থানের সময় করা ত্যাগ কেবল তখনই অর্থবহ হবে যখন দেশটি ‘সত্যিকারের জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র’ হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কমিশনার ড. নাবিলা ইদ্রিস এক ভিডিও বার্তায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, তিনি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ জুলাইয়ের বিদ্রোহকে ‘সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত’ আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করেন যা বাংলাদেশের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির পথ প্রশস্ত করেছিল।
হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) ফয়সাল মাহমুদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। মিশনের মৈত্রী হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম