দীপিকা পাড়ুকোন পেশা এবং ব্যক্তিজীবনের যথাযথ ভারসাম্য রক্ষা করতে কাজের সময় বেঁধে দেওয়ার দাবিতে এখনও সোচ্চার। মা হওয়ার পর নিজের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারকেও তেমন একটা গুরুত্ব দেননি বলিউডের এ সুপার স্টার। বিগ বাজেটের সিনেমা থেকে বাদ পড়াও সাদরে মেনে নিয়েছেন তিনি।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় কাজের কথা বলে দীপিকা যে দাবি তুললেন, তা নিঃসন্দেহে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের নতুন সদস্য ও দক্ষিণী সিনেমা তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা রাশমিকা মন্দানা। তবে দক্ষিণী নায়িকার গলায় বেশ সমালোচনার সুর শোনা গেল। তার দাবি, ‘আট কেন, সিনেমার স্বার্থে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে পারি।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রামশমিকাকে কাজের সময়সীমা নিয়ে দীপিকা পাড়ুকোনকে প্রশ্ন করা হয়। বছর খানেক আগেই বলিউডে অভিষেক হয়েছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় এ নায়িকার। পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমায় রণবীর কাপুরের স্ত্রীর ভূমিকা রাশমিকা প্রশংসিত হয়েছেন। ‘পুষ্পা গার্ল’ গ্ল্যামারের ঝলক ছেড়ে এখানে একেবারেই সাদামাটা গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রতিক বিতর্ক সেই সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গারই নতুন সিনেমা ‘স্পিরিট’ নিয়ে। এখানে নায়িকা চরিত্রে কাজ করার কথা ছিল দীপিকা পাড়ুকোনের। কিন্তু মেয়ে দুয়ার জন্মের পর কাজে ফিরে দীপিকা জানান, তিনি ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং করবেন না। এই মুহূর্তে তার কাছে মেয়েকে বড় করাই অগ্রাধিকার। তা মানতে নারাজ পরিচালক ও টিম। ফলে এই প্রোজেক্ট থেকে বাদ পড়তে হয় দীপিকাকে। সম্ভবত তার জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে বলিউডের আরেক নজরকাড়া উঠতি অভিনেত্রী তৃপ্তি ডিমরিকে।
দীপিকার এই দাবি এখন বলিউডে আলোচনার প্রায় প্রধান আলোচনায় রূপ নিয়েছে। রাশমিকা মান্দানাও গা ভাসিয়েছেন এতে। তবে ৮ ঘণ্টা কাজের সমর্থনে নয়, বরং সমালোচনায়। এক সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য, ‘গোটা দেশ এই নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু কাজের সময় তো সেই কাজ আর টিমের উপর নির্ভর করবে। সিনেমায় সই করার আগেই এসব নিয়ে স্পষ্ট হওয়া উচিত।’
রাশমিকা মান্দানা। ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি – তেলুগু, কন্নড়, তামিল। সেখানে আমি সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, মান আটঘণ্টা কাজ করতাম। কিন্তু হিন্দি সিনেমায় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা অবদি কাজ করতে হয়েছে। আমি তাতেও সড়গড়। তবে এখানে কাজের চাপ অভিনেতাদের উপর খুব বেশি থাকে। কখনো কখনো সকাল ৯টায় শুটিং শুরু হয়ে পরেরদিন পর্যন্ত চলেছে। মনে হয় যেন ১২ ঘণ্টা না, টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে কাজ করে চলেছি।’
শুটিংয়ের কষ্ট সময়ের কথা উল্লেখ করে রাশমিকা এ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টকর টানা ২, ৩ দিন বাড়ি না দিয়ে কাজ করা। এটা মোটেই সাধারণ ব্যাপার নয়।’ আসলে, দীপিকার দাবি এমনই যা নিয়ে আলোচনা তো বটেই, বিতর্কেরও যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। দীপিকার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অনেক পুরুষ সহকর্মী। কিন্তু রাশমিকা বোঝালেন, কাজের মোটেই কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকা উচিত না।
এমএমএফ/জেআইএম