সম্প্রতি গঠন করা দুটি কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও সম্মানী নির্ধারণ করেছে সরকার। এ বিষয়ে গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জাতীয় সংসদের তিন নির্বাচনে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে পর্যালোচনাপূর্বক ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদের মর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও সম্মানী এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হলো। পাঁচ সদস্যের এ কমিশনে সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসায় কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/ সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক (যথা ডেপুটেশন, লিয়েন, ছুটি ইত্যাদি) থাকলে তা সাময়িকভাবে স্থগিতের শর্তে এ কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের এবং কমিশনের সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
‘তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনের সভাপতি বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।’
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধাদি) আইন, ২০২১ প্রযোজ্য হবে। এ সংক্রান্ত ব্যয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাজেট থেকে নির্বাহ হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
- আরও পড়ুন
- সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে হ্যানিট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে
- আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না: সালাহউদ্দিন
অন্যদিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করার লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদেরও মর্যাদা, বেতন-ভাতাদি/ সম্মানী এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে। নয় সদস্যের এ তদন্ত কমিশনের সভাপতি সাবেক সচিব এ কে এম জাফর উল্লা খান।
এ কমিশনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/ সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক (যথা-ডেপুটেশন, লিয়েন, ছুটি ইত্যাদি) থাকলে তা সাময়িকভাবে স্থগিতের শর্তে তদন্ত কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের এবং (কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনের) ক্রমিক ২, ৭, ৮ ও ৯ এ উল্লিখিত কমিশনের সদস্য (এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম সাঈদ হোসাইন, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান ও আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ আলি) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন। কমিশনের অন্য সদস্যরা প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন।
‘তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনের সভাপতি বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।’
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধাদি) আইন, ২০২১ অনুসরণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত ব্যয় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের বাজেট থেকে নির্বাহ হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
আরএমএম/কেএসআর/এএসএম