দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অর্ডিন্যান্সের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয় ।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা থাকবে (দেশি বা বিদেশি নাগরিক) তাদের অবস্থানকালে অন্য দেশে যদি কোনো দুর্নীতি করে তাহলে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করতে পারবেন বিচারক।
দুদক অর্ডিন্যান্সে জ্ঞাত (বৈধ) আয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এছাড়া যে জায়গাতে দুদকের অফিস থাকবে সেখানেই দুদকের স্পেশাল কোর্ট গঠন করার বিধান করা হয়েছে। দুদকের যিনি চেয়ারম্যান বা প্রধান থাকবেন তাদের বাছাই করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তারা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করবেন। এছাড়া তারা নিজস্ব বিবেচনায়ও প্রার্থী বাছাই করবেন। যারা কমিশনার হতে চান তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। দুদকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজাহার দায়ের, তদন্ত ও অনুসন্ধানের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দুদকের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। দুদকের কাজ দুর্নীতি দমন করা, কিন্তু দুদকের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এমইউ/এমএমকে/জেআইএম