শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মানুষজন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তাপমাত্রা আরও কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত দুদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনেকনে ঠান্ডায় শীত কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে সমগ্র জেলা। এদিকে শীত নিবারনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তা বিতরণ চলমান রয়েছে।
রাজারহাট সদর ইউনিয়নের আটোরিকশা চালাক শামসুল হক বলেন, দুইদিন থাকি সূর্যের দেখা নাই। খুব ঠান্ডা, গাড়ি চালায় যায় না। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, খুব কষ্টে আছি আমরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে। এ মাসেই ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।