দুর্গাপূজার বাকি আর কয়েকদিন, বাংলাদেশের ইলিশের আশায় পশ্চিমবঙ্গ

2 hours ago 4

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এমন উৎসব মুখর দিনে বাঙালির হেঁসেলে ইলিশ মাছ থাকবে না তা কি কখনো হয়। এপার বাংলার বাঙালিরা ইলিশ মাছ বলতেই বোঝে ওপার বাংলার পদ্মার সুস্বাদু রুপালি ইলিশ।

গত কয়েক বছর ধরে ঠিক পূজার আগেই পশ্চিমবঙ্গে বাঙালির পাতে পড়ে বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ। কিন্তু এবার এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ইলিশের দেখা মেলেনি পশ্চিমবঙ্গে। এবার পূজায় বাংলাদেশের সুস্বাদু রূপালি ইলিশের টান কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানের বাজারেও।

jagonews24.com

বাংলাদেশের ইলিশ কলকাতার বাজারে না আসলেও দুর্গাপূজার আগে কলকাতার বাজারে ইলিশের জোয়ার। বাংলাদেশের ইলিশের বদলে কলকাতার বাজারে গুজরাটের ইলিশের দেখা মিলছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে বড় অংশের ইলিশ আসছে গুজরাট থেকে যেখানে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ মাছ ধরা পড়েছে। যদিও এই ইলিশের স্বাদ বাংলাদেশের ইলিশের চেয়ে অনেকাংশেই কম।

বাংলাদেশের ইলিশের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা এখন গুজরাটের ইলিশ দিয়েই তাদের রসনা তৃপ্তি করছে। তবু এপার বাংলার বাঙ্গালিদের আশা পূজার ঠিক আগেই বাংলাদেশের উপহার হিসেবে ইলিশ আসবে এবং সেই পুরোনো স্বাদ তারা নিতে পারবে।

এবার বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন কম হওয়ায় সেভাবে আর ইলিশের ট্রাক আসছে না পশ্চিমবঙ্গে। তার বদলেই ইলিশ মাছ আসছে গুজরাট থেকে। প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ভর্তি বিশেষ ট্রাক ঢুকছে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে।

গুজরাটের ৭০০ গ্ৰাম থেকে ৮০০ গ্ৰাম এবং১ কেজি ২শো গ্ৰাম ও ১ কেজি ৩শো গ্ৰামের ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। ১ কেজি ওজনের পাইকারি ডিমওয়ালা ইলিশের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ রুপি, ডিম ছাড়া ইলিশের দাম ৯০০ থেকে ১ হাজার রুপি রাখা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, আমাদের এখানে ইলিশ মাছের অনেক চাহিদা। কিন্তু ইলিশ মাছের আমদানি নেই। যার কারনে এর দাম অনেক বেশি থাকে। কিন্তু এবছর গুজরাট থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ আসছে। এত পরিমাণে ইলিশ মাছ কলকাতার বাজারে এসেছে যে গত ৫০ বছরে রেকর্ড ভেঙ্গেছে। ইলিশ মাছ যখনই বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় তখনই দামটা অনেকটাই কমে যায়।

jagonews24.com

সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ আরও বলেন, আমাদের এখানে পূজায় বাংলাদেশের ইলিশ আসতো। আমরা অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে কিন্তু কি হবে জানিনা। এমনিতেই বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ চলছে। তারপরও আমরা তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি, প্রত্যেক বছরের মতো দুগাপূজায় এবারও ইলিশ মাছ দেবে। আমরা আশা রাখছি তারা ইলিশ মাছ দেবে।

সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ আরও বলেন, বাংলাদেশেও ইলিশের আমদানি অনেক কম হয়েছে। সব জায়গায় ইলিশের উৎপাদন কম হয়েছে। তার মধ্যেই গুজরাটে যেভাবে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে তাতে পুরো খেলাটাই পরিবর্তন করে দিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ বাঙালিরা আশায় আছেন, খুব শিগগির বাংলাদেশের মাছ এপার বাংলায় পাঠানোর অনুমতি দেবে।

ডিডি/টিটিএন

Read Entire Article