দু’বছর আগেও একসঙ্গে খেলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা। ঘরোয়া বিভিন্ন টুর্নামেন্টে একেক জন ছিলেন একক দলে। তবে এবার ভিন্ন রোলে দেখা মিল জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলকে। প্রথমবার কোচ হিসেবে সৌম্য, সাইফউদ্দিনদের অনুশীলন করালেন আশরাফুল। গ্লোবাল সুপার লিগ সামনে রেখে রংপুর রাইডার্সের কোচিং প্যানেলে যোগ দিলেন তিনি। তবে স্বপ্নটা তার জাতীয় দলের হয়ে কাজ করানো। সেজন্য সময় নিতে চান। একই সঙ্গে দেরিতে হলেও বিসিবি যে স্থানীয় কোচের গুরুত্ব বুঝেছে—সেজন্য প্রশংসা করেছেন তিনি। কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে জাতীয় দলের সহকারী কোচ বানানোকে ইতিবাচক মনে করছেন আশরাফুল। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এক যুগের বেশি সময় পর জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। নারীদের জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে খুব শিগগির যোগ দেবেন সারোয়ার ইমরানও। আপাতত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে আছেন তিনি। ধীরে ধীরে জাতীয় দলের বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় কোচদের যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে স্থানীয়দের যুক্ত করাকে ইতিবাচক মনে করেন আশরাফুল, ‘বিসিবি এ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করেছে। তবে এটা ভালো সিদ্ধান্ত। জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে দেশীয় কোচদের যুক্ত করলে দেশীয় কোচদের দক্ষতা বাড়ে এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করায় স্বাচ্ছন্দ্য আসে।’
দুই যুগের বেশি সময় পেশাদার ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন আশরাফুল। এবার কোচ হিসেবেও ক্রিকেটেই থাকছেন তিনি। তবে শুরুটা হচ্ছে রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে গ্লোবাল সুপার লিগে। এরপর আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। তবে এখন কোচিংয়ের খুঁটিনাটি শিখতে চান এবং পরবর্তীতে জাতীয় দলেও কাজ করতে চান তিনি, ‘দুই যুগেরও বেশি সময় ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু এখন কোচিং পেশায় এসেছি। এখানে অনেক কিছু শেখার সুযোগ আছে। আগে শিখতে চাই, তারপর বড় জায়গায় যেতে চাই। শেখার প্রক্রিয়াটাকে উপভোগ করতে চাই। নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে বিসিবির কোচিংয়ের রাডারে আসতে চাই, তবে এখনই নয়।’
অবশ্য বিসিবির কোচিং রাডারে প্রচুর স্থানীয় কোচেরা কাজ করেন। কিন্তু জাতীয় দলে তাদের সেভাবে সুযোগ হয়নি কখনো। এবার সালাহউদ্দিনকে দিয়ে সে বৃত্ত ভাঙবে এমন প্রত্যাশা আশরাফুলদের।