‘দেশে আর কাউকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না’

2 weeks ago 13

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, আগে সংঘঠিত প্রত্যেক বিপ্লব তার আসল লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল একই সঙ্গে বিপ্লব শেষে প্রকৃত বিপ্লবীরাও হারিয়ে গিয়েছিল। আর ঠিক এজন্যই দেশে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট বার বার প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিল। এ দেশে আর কাউকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। এজন্য দেশ গঠনে সামনের দিনগুলোতে বিপ্লবীদের প্রয়োজন।

‘যুক্তির শানে ভাঙবো শৃঙ্খল, হবো মুক্ত প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে শুক্রবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘২য় পলাশী বিতর্ক যুদ্ধ ২৪’ এ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন আব্দুল হান্নান মাসুদ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই বিজয় অর্জনের পেছনে যারা প্রকৃত সৈনিক তাদের হাতে আগামীর বাংলাদেশ দেখতে চাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পাওয়ার পর আবার ১৯৭৩ এর মতো ভোট চুরি ও বাকশাল আমরা আর দেখতে চাই না। জীবন দিয়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার আমরা পরিবর্তিত এক বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে অনেককে যখন বলতে দেখি বাবার আগে সন্তান এগিয়ে গেলে দেশ রসাতলে যাবে তখন আমরা আহত হই। কেন না যখন দেশের প্রয়োজন ছিল তখন এই সন্তানরাই জীবন দিয়ে প্রথমে সামনে এগিয়ে এসেছিল। ২৪ এর অভ্যুত্থানও যদি পূর্বের অভুত্থান গুলোর মতো ব্যর্থ হয় তাহলে এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কোনোভাবেই এই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।

‘দেশে আর কাউকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল ডিবেটিং ক্লাবের উদ্যোগে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই বিতর্ক। যেখানে দেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি দলের অংশগ্রহণ করে। সারা দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়।

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ফিরোজ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশারসহ অনেকে।

সাইদ আহম্মদ/এমআইএইচএস/এএসএম

Read Entire Article