দেশে বেড়েছে গাঁজা-ইয়াবাসেবী: আহ্ছানিয়া মিশন

3 weeks ago 18

দেশে মাদকের মধ্যে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এরমধ্যে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ গাঁজা ও ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ইয়াবা সেবনকারী।

আহ্ছানিয়া মিশনের মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে। গত ২০ বছরে তাদের কাছে আসা দুই হাজার ৭৮৯ জন মাদকাসক্ত রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পায় বেসরকারি সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) গাজীপুরে মিশনটির মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এসব তথ্য জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

তিনি জানান, ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ঘুমের ওষুধ, ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ হিরোইন, ১২ দশমিক ৬ শতাংশ অ্যালকোহল এবং ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ একই সঙ্গে একাধিক মাদক গ্রহণকারী, বাকিরা অন্যান্য মাদক গ্রহণকারী।

আর মানসিক রোগের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বাইপোলার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ডিপ্রেশন ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওসিডি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বাকিরা অন্যান্য মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৭৮৯ জনকে সেবা দিয়েছে। এরমধ্যে মাদকাসক্তজনিত সমস্যা দুই হাজার ১৪২ জনের। আর মানসিক সমস্যা ৬৪৭ জনের। যার মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

গত দুই দশকের তথ্যের আলোকে, এসব রোগীর মধ্যে ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ চিকিৎসার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। মেয়াদ পূর্ণ না করে চলে গেছেন ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া বিভিন্ন কারণে ১ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীকে রেফার করা হয়েছে। আর ২ দশমিক ২৯ শতাংশ রোগী বর্তমানে চিকিৎসারত।

পরিচালক ইকবাল মাসুদ আরও বলেন, এই কেন্দ্রটি তিন ধরনের রোগী যেমন- মাদকদ্রব্য নির্ভরশীল, আচরণগত এবং মানসিক সমস্যাগ্রস্ত তাদের ৬ মাস ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। এছাড়া পূর্ণমেয়াদ চিকিৎসা সম্পূর্ণকারী ক্লায়েন্টরা পরবর্তীতে রিলেপ্স করলে রিভিউ ক্লায়েন্ট হিসেবে তিন মাস ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। যারা পূর্ণমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণ করে এখনো সুস্থ, তারা সেন্টার থেকে বছরে সর্বোচ্চ ১২ দিন বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া ও কাউন্সেলিং সেবা পাচ্ছেন।

টিটি/জেডএইচ/এমএস

Read Entire Article