পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশ গঠনমূলক কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে রামু সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান তিনি।
স্বাগত ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রমণ সূচিত হয়। ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় স্বাধীন ও সার্বভৌম- বাংলাদেশ। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও রামু সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদায় মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
সায়ীদ আলমগীর/জেডএইচ/এমএস