গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পাওয়ার জেরে ছুরিকাঘাতে বিএনপি ও জামায়াতের ৬ নেতাকর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। পরে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে অভিযুক্ত মারুফ হাসান (২৬) আটক করেছে পুলিশ। তিনি শিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে পৌর জাসাসের সভাপতি রাশেদ রুমেল (৪০), পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জালাল মিয়া (৪৫), কাটাবাড়ি ইউনিয়নের ছাত্রদলের সজিব (৩০) ও জামায়াত কর্মী ফুল মিয়ার (৩৫) নাম জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, চারমাথা মোড়ে জামায়াত কর্মী ফুল মিয়ার সিগারেটের দোকানে ব্লাক ডায়মন্ড সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় ছাত্রদলের মারুফ হাসানের বাকবিতন্ডা হয়। পরে মারুফ ফোন করে তার বন্ধুসহ পক্ষের ছেলেদের নিয়ে ধারালো ছুরি হাতে ফুল মিয়াকে মারতে যায়। এ ঘটনা দেখে পাশেই থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে বাঁধা দেয়। এ সময় মারুফ তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে অন্তত ৬ জন আহত হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। ছুরিকাঘাতে আহতদের হাত, আঙ্গুল, বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে জখম হলে ৮-১০টি করে সেলাই দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, দোকানে সিগারেট চেয়ে না পাওয়ার জেরে মারুফ হাসানের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে দোকান মালিক জামায়াতকর্মী ফুল মিয়াসহ বিএনপির ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে অভিযুক্ত মারুফকে আটক করা হয়। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপি আহ্বায়ক রবিউল কবির মনু, সদস্য সচিব আবু জাফর লেলিনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অপরদিকে ছুরিকাঘাতে নেতাকর্মীদের আহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত ও জাসাসের নেতাকর্মী। রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান নেতাকর্মীরা।