দেড় বছর ধরে অনুপস্থিত, নিয়মিত বেতন তুলছেন স্বাস্থ্যকর্মী

5 hours ago 6
বগুড়ার সোনাতলার মূলবারী কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো. রফিকুল বারী দেড় বছর ধরে ক্লিনিকে অনুপস্থিত। ফলে ওই এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে রফিকের বিরুদ্ধে। মূলবারী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, শাহজাহান আলী জানান, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে মূলবারী কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা দানকারী সিএইচসিপি রফিক ক্লিনিকে আসেন না। প্রতিদিন এই এলাকার হতদরিদ্র শত শত নারীপুরুষ সেবা নিতে এসে ফেরত যাচ্ছেন। ইউনিয়নের অন্যান্য ক্লিনিকের আশপাশের মানুষ সেবা পেলেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। একই গ্রামের মাহফুজার রহমান বানু, রিপন ইসলাম, হাজেরা বেওয়া ও রহিমা বেগম অভিযোগ করেন, এ এলাকার স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত মানুষের পক্ষে আমরা একাধিকবার উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছি, কোনো ফল হয়নি। আমরা বুঝি না, কোন অজানা কারণে অফিসাররা রফিকের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেননি। আমাদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেন এ এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রাখা রফিকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দিগদাইড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমিনুল ইসলাম জানান, আওয়ামী সরকারের পতনের আগে থেকেই মূলবারী কমিউনিটি ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে। সেবা পাচ্ছে না এ এলাকার হতদরিদ্র মানুষ। ঊর্ধ্বতনদের কাছে অভিযোগ করে কিছুই হয় না। আবার শুনেছি, সে নিয়মিত বেতনও তুলছে। তবে আমার সর্বোপরি কথা হলো ক্লিনিকটি যেন দ্রুত চালু করা হয়। এ বিষয়ে জানতে সিএইচসিপি রফিকুল বারীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো.হাসিবুর রহমান হাসিব জানান, মূলবারী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রফিকুল বারী তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবগত করিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন কবিরাজ জানান, তিনি সিএইচসিপি রফিকুল বারীর কর্মস্থলে অনুপস্থিতি ও বেতন উত্তোলনের বিষয়টি জানেন।  তিনি বলেন, তাকে আমি মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি। এখন তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Read Entire Article