দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের ১০০

তৃতীয় দিন চা-বিরতির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ এগোচ্ছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার। ইতোমধ্যেই তারা করেছে শতরানের জুটি। দুজনের ব্যাটেই এসেছে অর্ধশতক। সিলেট টেস্টের পর মিরপুর টেস্টেও ভালো করছে ব্যাটাররা। সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় করেছিলেন ১৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের বোর্ডে রান বিনা উইকেটে ১০৩। জয় ৫১ ও সাদমান অপরাজিত ৫৩ রানে বাংলাদেশের লিড ৩১৫ রান। এর আগে, ফলোঅন এড়াতে ১১ রান বাকি থাকতেই প্রথম ইনিংসে ২৬৫-তে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। তবে মিরপুর টেস্টে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে গেছে বাংলাদেশ, ২১১ রানে এগিয়ে থেকে। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা আয়ারল্যান্ড তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় উইকেট হারায়নি। তবে ৫৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনেছেন তাইজুল ইসলাম। ওভারের প্রথম বলে সেট ব্যাটার স্টিফেন দোহেনিকে (৪৬) বোল্ড করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এক বল পর তিনি বোল্ড করেন নতুন ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকেও। ১৭৫ রানে ৭ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। অষ্টম উইকেটে

দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের ১০০

তৃতীয় দিন চা-বিরতির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ এগোচ্ছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার। ইতোমধ্যেই তারা করেছে শতরানের জুটি। দুজনের ব্যাটেই এসেছে অর্ধশতক।

সিলেট টেস্টের পর মিরপুর টেস্টেও ভালো করছে ব্যাটাররা। সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় করেছিলেন ১৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের বোর্ডে রান বিনা উইকেটে ১০৩। জয় ৫১ ও সাদমান অপরাজিত ৫৩ রানে বাংলাদেশের লিড ৩১৫ রান।

এর আগে, ফলোঅন এড়াতে ১১ রান বাকি থাকতেই প্রথম ইনিংসে ২৬৫-তে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। তবে মিরপুর টেস্টে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে গেছে বাংলাদেশ, ২১১ রানে এগিয়ে থেকে।

মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা আয়ারল্যান্ড তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় উইকেট হারায়নি।

তবে ৫৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনেছেন তাইজুল ইসলাম। ওভারের প্রথম বলে সেট ব্যাটার স্টিফেন দোহেনিকে (৪৬) বোল্ড করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এক বল পর তিনি বোল্ড করেন নতুন ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকেও। ১৭৫ রানে ৭ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

অষ্টম উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন লরকান টাকার আর জর্ডান নেইল। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় (৪৯) থাকা নেইলকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন এবাদত। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ৮৮.৩ ওভারে অলআউট হয় ২৬৫ রানে। ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে যান টাকার।

তাইজুল ইসলাম ৭৬ রানে নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট খালেদ আহমেদ আর হাসান মুরাদের।

রানপাহাড়ের জবাব দিতে নেমে পল স্টার্লিং আর অ্যান্ডি বালবির্নি আয়ারল্যান্ডকে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে দেন ৪১ রান। স্টার্লিংকে (২৭) এলবিডব্লিউ করে এই জুটিটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ।

আরেক ওপেনার বালবির্নি (২১) হন হাসান মুরাদের ঘূর্ণির শিকার। ডিফেন্ড করতে গিয়ে বল ব্যাটের পর প্যাডে লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। চাদে কারমাইকেলকে (১৭) এলবিডব্লিউ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এরপর চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারিতে হাসান মুরাদ বোল্ড করেন কুর্তিস ক্যাম্ফারকে (০)। উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন তাইজুল ইসলামও। তিনি লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন হ্যারি টেক্টরকে (১৪)। একশর আগে (৯৪ রানে) ৫ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

এর আগে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির পর লিটন দাসের ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতকে ভর করে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৪৭৬ রানে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফার নিয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।

দ্বিতীয় দিন শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে ১০৬ রানে আউট হন মুশফিক। ফলে লিটনের সঙ্গে গড়া ১০৮ রানের জুটি ভেঙে যায়। ৩১০ রানে পতন হয় পঞ্চম উইকেটের।

তবে থেমে যাননি লিটন। তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। আউট হওয়ার আগে খেলেন ১২৮ রানের সুন্দর এক ইনিংস। মিরাজের সঙ্গেও হয় শতরান পার করা জুটি। ১৩৩ রানের জুটিতে মিরাজের অবদান ৪৭। ভুল থেকে শিক্ষা না নিয়ে মিরাজ উইকেট বিলিয়ে দিলে ভাঙে সেই জুটি গ্যাভিন হোয়ে।

এরপর হয় ছন্দপতন। ৪ বলের ব্যবধানে মিরাজ-লিটন দুজনই ফেরত যান সাজঘরে। হোয়েকে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজে স্লিপে ক্যাচ দেন পল স্টার্লিংকে লিটন। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১২৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৩৩ রানে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

শেষদিকে হাসান মুরাদের ১১ আর এবাদত হোসেনের অপরাজিত ১৮ রানে ভর করে ৪৭৬ পর্যন্ত গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

প্রথম দিন ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। মুশফিকুর রহিম ৯৯ ও লিটন অপরাজিত ছিলেন ৪৭ রানে।

আইএন/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow