দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশটাকে স্থিতিশীলতায় নিয়ে আসুন : এ্যানি

5 hours ago 4

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন দিয়ে দেশটাকে স্থিতিশীলতায় নিয়ে আসুন। নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী কালিদাস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু সময়ের জন্য। এ সরকার ফার্মানেন্ট সরকার নয়। জনগণের সরকার হলে ৫ বছরের জন্য একটা দায়িত্ব পেয়ে যাবেন। এতে দেশ স্থিতিশীলতায় থাকবে। স্থিতিশীলতা ব্যবসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করতে হলে তার পূর্বশর্ত হলো নির্বাচন। হাসিনার আমলে গণতন্ত্রের আগে উন্নয়নের ব্যবসা করেছে, লুটপাট করেছে। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন। বিএনপি জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের পর থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপিসহ জাতিকে একত্রিত করেছেন। নিজে কিংবা দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য একত্রিত করেননি। মানুষ তারেক রহমানকে নিয়ে গর্বিত এবং নির্ভরশীল। এ জন্য একটা নেতা দেখান- আগামীতে বাংলাদেশ কার নেতৃত্বে চলবে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার পর সারা বাংলাদেশে তারেক রহমানের মতো কোনো নেতা আছে?

এ্যানি বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, আমরা এককভাবে সরকার গঠন করব না। এক ব্যক্তির শাসনে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ সৃষ্টি হয়েছে। এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে। যার কারণে তারেক রহমান দেশে নতুন করে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছেন। এতে সাধারণ সদস্য নিচের কক্ষে এবং উপরের কক্ষে থাকবে শ্রেণিভিত্তিক। যার মাধ্যমে পাওয়ার ব্যালেন্স থাকবে। এ পাওয়ার ব্যালেন্সের নতুন উদ্ভাবনা দেশে তারেক রহমান নিয়ে এসেছেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান কৃষকদের জন্য খাল খনন করেছেন, পানি দিয়ে ফসল উৎপাদন হতো। অর্ধেক বিদেশে রপ্তানি করে এবং বাকি অর্ধেক দেশের চাহিদা মিটাত। একটা খাল খননের সঙ্গে অনেকগুলো রাজনীতি জড়িত। খাল খননের সঙ্গে রাজনীতি, জীবন-জীবিকা জড়িত, আত্মনির্ভরশীলতা জড়িত। এগুলো জিয়াউর রহমানের কারিশমা, তিনি হঠাৎ করেই নেতা হননি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য আছেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন না, হাসিনা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য সে প্রক্রিয়াতে গেছেন। কিন্তু হাসিনা উড়াল দিয়ে চলে গেছে। আর খালেদা জিয়া ওনার জায়গায় আছেন। মানুষের কাছে খালেদা জিয়া সম্মানিত হয়েছেন।

এ্যানি বলেন, হাসিনা রাজনৈতিক পরিবারের নাকি সদস্য ছিল। তার বাবা অনেক পুরোনো রাজনীতিবিদ। হাসিনা গত ১৭ বছর প্রকৃত রাজনীতি করেননি। স্বাধীনতার পরও তার বাবা প্রকৃত রাজনীতি করেননি। আমরা রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার দেখেছি। গত ১৭ বছর মানুষ রক্ষীবাহিনী থেকে ভয়াবহ নির্যাতন-অবিচার দেখেছে।

তিনি বলেন, হাসিনা এমনি এমননি উড়াল দেয়নি। সে গণশত্রুতে, গণদুশমনে পরিণত হয়েছে। জনদুশমনে পরিণত হয়েছে বলেই মানুষের রাজনীতি করতে পারেননি, পারবেনও না। হাসিনার নেতৃত্বে দেশে খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, অত্যাচার হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে, মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে। কার উপর অত্যাচার হয়নি? প্রত্যেকটা মানুষ অত্যাচারিত-নির্যাতিত।

ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. খালেদ হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন- কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রবিউল হাসান পলাশ। বক্তব্য দেন- জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এমএ হাশেম প্রমুখ।

Read Entire Article