নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদকে দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বীর মাইজাটি বাজারের নিজ দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সুলতান উদ্দিন কেন্দুয়া উপজেলার কাঊরা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য মন্তাজ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, কেন্দুয়ায় গড়াডোবা ইউনিয়নে গড়াডোবা বাদীর গ্রামে বসত বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে নেত্রকোনা-৩ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে প্রধান আসামি করা হয়। অসীম কুমার উকিলের সহধর্মিণী বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক অপু উকিলকে ২নং আসামি করা হয়। আসামি করা হয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৩ জনকে। অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনসহ মোট ১৭৩ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের ৪-৫ ধারা মোতাবেক কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
কেন্দুয়া থানার এসআই রোকন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আসামি সুলতান আহমদকে ৫ ডিসেম্বর গড়াডোবা গ্রামের বিএনপি নেতা মন্তাজ উদ্দিনের করা দ্রুত বিচার আইনের ৪-৫ ধারা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামি সুলতান আহমেদকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার পর আসামিরা গা ঢাকা দেয়। তবে পুলিশ পলাতক আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে বীরমাইজাটি বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলামান।