গাইবান্ধায় এক নারী উদ্যোক্তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল আজিজ খোকনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খোকন গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার উত্তর উল্লা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে৷ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাদশা আলম।
অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল আজিজ খোকন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘ চার বছর ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে তার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানায় চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়। এদিকে ওই মামলা তুলে নিতে আসামি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাদীকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খোকন ওই নারীকে বিয়ে করবে বলে তার বাসায় ডেকে নেয়। এ প্রস্তাব শুনে ভুক্তভোগী নারী গাইবান্ধার সাঘাটা উল্লা বাজারে আব্দুল আজিজ খোকনের ঔষধের দোকানে উপস্থিত হন। এসময় খোকন ও তার সহযোগীরা নারীকে বেধড়ক মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
আরও পড়ুন
ল্যাম্বরগিনির আদলে স্পিডবোট তৈরি করলেন দশম শ্রেণির রাহাদ
ব্রিজের সংযোগ সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আব্দুল আজিজ খোকন আমাকে দীর্ঘদিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি আপত্তিকর কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। পরে থানায় মামলা করলে তিনি আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হন। আমাকে আবার কৌশলে ডেকে নিয়ে খোকনসহ তার লোকজন চুল কেটে দেয়। এ বিষয়ে আমি সাঘাটা থানায় এজাহার দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাদশা আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনোয়ার আল শামীম/এনএইচআর/জিকেএস