‘ধর্ষণ’ শব্দ নিয়ে সমালোচনার মুখে ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ

3 hours ago 3

‘ধর্ষণ’ শব্দের পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ ব্যবহার করতে অনুরোধ জানানো নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

ডিএমপি কমিশনার দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ধর্ষণকে বৃহত্তর পরিসরে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছি। আমার বক্তব্যে কেউ মনঃক্ষুণ্ন হলে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।’

সোমবার (১৭ মার্চ) ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দুটি শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা নারী নির্যাতন বা নিপীড়ন বলবেন।’

তর এই অনুরোধের পর ওঠে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নাগরিক সমাজের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনারের এই বক্তব্যের কঠোর নিন্দা জানানো হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ধর্ষণ হলো ধর্ষণ, তা ৮ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেই হোক বা ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ক্ষেত্রেই হোক। এতো গুরুতর ও জঘন্য অপরাধকে তার যথাযথ নামেই ডাকতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না।

আরও পড়ুন:

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সেভ দ্য চিলড্রেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা পাঁচটি এনজিও এ মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে। শব্দ পরিবর্তন করে অপরাধের ভয়াবহতা লঘু করার সুযোগ নেই বরং সঠিক ভাষা প্রয়োগ না করলে আইন প্রয়োগেও দুর্বলতা আসবে।

টিটি/এসএনআর/জেআইএম

Read Entire Article