‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশু ছোঁয়াকে আছড়ে হত্যা করে ফুপাতো ভাই’

4 hours ago 3

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত বছরের শিশু ছোঁয়া মনি হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনা মো. মনিরুল ইসলাম জিহাদ নামে ভিকটিমের ফুপাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রায়গঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গ্রেপ্তার আসামি। 

মো. মনিরুল ইসলাম জিহাদ উল্লাপাড়া উপজেলার হাওড় গ্রামের মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে। নিহত ছোঁয়া মনি রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমুড়া গ্রামের সুমন শেখের মেয়ে। 

সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এ হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি মনিরুল ইসলাম জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে লোমহর্ষক এ ঘটনার বিবরণ দিয়েছে জিহাদ। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ জানায়, বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তার মামাতো বোন ছোঁয়া মনি মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ছোঁয়া মনি তার সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো বাবা-মাকে বলে দিবে জানায়। তখন প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটের ওয়ালের সঙ্গে আছড়ে তাকে হত্যা করে। এরপর মরদেহ টয়লেটের মধ্যেই ফেলে রেখে চলে যান। 

এসআই নাজমুল বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর জিহাদ বাড়ি গিয়ে অন্যদের সঙ্গে নিজেও ছোঁয়া মনিকে খোঁজার নাটক করে। মসজিদে মাইকিংও করে। এরপর টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে সে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জিহাদের রক্তমাখা গেঞ্জি ও লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়। 

এর আগে বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে প্রতিবেশীর ভাঙা ও পরিত্যক্ত টয়লেটের ওপর থেকে ছোঁয়া মনির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদি মোছা. ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় মামলা করেন। ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। 

Read Entire Article