নরওয়ের রাজপরিবারে বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। ধর্ষণসহ একাধিক গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্রাউন প্রিন্সেস (যুবরাজ্ঞী) মেটে-ম্যারিটের ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর প্রতি নিপীড়ন ও হত্যার হুমকির অভিযোগও উঠেছে বলে জানিয়েছে নরওয়ে পুলিশের। খবর সিএনএন।
মারিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন নারীর সঙ্গে যৌনাচার করেছেন। যিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন এবং কোনো প্রতিরোধ করার মতো অবস্থায় ছিলেন না। নরওয়ে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মারিয়াস যৌনাচারে লিপ্ত হলেও সহবাস করেননি।
ভুক্তভোগী নারীর বয়স বিশের ঘরে। তার আইনজীবী হেগ সলোমন জানিয়েছেন, ওই নারীর সঙ্গে আগে কখনো মারিয়াসের পরিচয় ছিল না। ঘটনাটি যেদিন ঘটে, সেদিনই তাদের প্রথম দেখা হয়। আইনজীবী আরও বলেন, তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।
মারিয়াসের আইনজীবী দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনআরকে এক প্রতিবেদনে জানান, তার মক্কেল নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ বছর বয়সী মারিয়াসের বিরুদ্ধে আরও চারজন নারী ও একজন পুরুষের সঙ্গে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- তিনজন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তাদের নিপীড়ন করা এবং এক তরুণকে হত্যার হুমকি দেওয়া।
উল্লেখ্য, মারিয়াস নরওয়ের যুবরাজ্ঞী মেটে-ম্যারিটের বড় ছেলে। মেটে-ম্যারিট ২০০১ সালে নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্স হোক্কনকে বিয়ে করেন। তবে মারিয়াসের জন্ম হয় এই বিয়ের আগেই। রাজকীয় প্রাসাদ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। যদিও মেটে-ম্যারিট ও হোক্কনের দুই সন্তান রাজকুমারী ইনগ্রিড আলেকজান্দ্রা (২০) ও রাজকুমার সার্ভার ম্যাগনাস (১৮) আনুষ্ঠানিক রাজকীয় দায়িত্ব পালন করেন, মারিয়াসের কোনো রাজকীয় দায়িত্ব নেই। তবে ছোটবেলা থেকে দুই ভাইবোনের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন তিনি।
নরওয়ের রাজপরিবার সবসময়ই তাদের গণতান্ত্রিক ও জনবান্ধব অবস্থানের জন্য প্রশংসিত হয়ে এসেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক এ ঘটনা রাজপরিবারের ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, রাজপরিবার এ ঘটনায় কীভাবে দায়িত্ব নেবে এবং কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।