কুষ্টিয়ার খোকসায় ধর্ষণের শিকার সেই আট বছরের শিশুর বসতঘরটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার আফজাল কাজীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) গভীর রাতে মাথা গোঁজার একমাত্র টিনের ছাপড়া ঘরটি আগুনে পুড়ে যায়।
ঘটনার সময় ঘরে কেউ ছিলেন না। শনিবার সেখানে গিয়ে ওই শিশু ও তার মাকে পাওয়া যায়নি। তবে তারা কোথায় আছেন এ বিষয়ে পরিবারের কেউ মুখ খোলেনি।
দেখা গেছে, ছাপরা ঘর ও পাশের রান্নার জায়গার খুপরি ঘরটির সব পুড়ে গেছে। সামান্য কিছু বাঁশের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের মাঝখানে আংশিক পোড়া অবস্থায় পরে রয়েছে বিছানা-বালিশ।
শিশুর দাদি জানান, তার নাতনি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ নিয়ে মামলা হয়। ওই মামলার একমাত্র আসামি আফজাল কাজীর (৫৫) লোকজন আগুন দিতে পারে। আবার অন্য কেউ আগুন দিতে পারে।
শিশুর চাচা জানান, কয়েকদিন ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পরেন তারা। পরে লোকজনের চিৎকারে তিনি জেগে দেখেন তার ভাইয়ের আর কিছু নেই।
ওই ওয়ার্ডের মেম্বর সোবহান আলী জানান, কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ওই বাড়িতে গভীর রাতে আগুন লাগবে কি করে।
ওসি শেখ নাঈমুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনা শোনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আফজাল কাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। এরমধ্যে হঠাৎ করে ওই বাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারেক কাজী নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে খোকসা উপজেলার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরেরদিন বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানাজানি হয়।
পরে রাতেই গ্রেফতারের দাবিতে অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করেন গ্রামবাসী। এরপর আফজাল কাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আল-মামুন সাগর/জেডএইচ/এমএস