যারা ধর্ষিতা তাদের জানাজার আগে যদি ধর্ষকের জন্য এ ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে আর কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হবেন না বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামীম উদ্দিন।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ধর্ষণবিরোধী এক মানববন্ধনে তিনি এসব বলেন।
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ সময় নগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজিরের সঞ্চালনায় মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমউদ্দিন সরকার, রাজশাহী কলেজ শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছরে ধর্ষণের সেঞ্চুরি হয়েছে, তাদের পতন হলেও বর্তমান সরকারের ৭ মাস পার হলেও আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে আগের ধারাবাহিকতায় এখনো ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই চলমান রয়েছে। মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রশিবির রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে অতিশিগগিরই গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এ সময় নগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামীম উদ্দিন বলেন, আমরা লজ্জিত আট বছরের শিশুকে এভাবে ধর্ষণ করে। সরকারি তথ্য মোতাবেক ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৬ হাজার ৬৯৫টি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশে শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ হয়েও ধর্ষণের সেঞ্চুরির পর মিষ্টি বিতরণ করেছে। অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশে যদি প্রকাশ্যে কংকর নিক্ষেপ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তাহলে আর কেউ এ কাজ করার সাহস পাবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এমন একটি সমাজ চায়, যেখানে গভীর রাতে নারীরা হেঁটে যাবে কিন্তু তাদের ধর্ষণের কোনো ভয় থাকবে না। বাংলাদেশে রাতে চলাচলে জন্য কোনো ভয়-ভীতি, চিন্তা থাকবে না। সবাই নির্দ্বিধায় চলাচল করবে। শুধু আট বছরের এই শিশুর ঘটনায় সীমাবদ্ধ না থেকে এর বাইরে যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটির সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
মানববন্ধনে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।