‘টানা ১০ ওভার ব্যাট করা তার পক্ষে সম্ভব নয়...’ – আইপিএলে ধোনির ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অবশেষে রহস্য উন্মোচন করলেন চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং।
শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৬ বলে ৩০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এমএস ধোনি। কারণ, তিনি ব্যাট করতে নেমেছিলেন ৯ নম্বরে! ম্যাচের ভাগ্য তখন অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল, ফলে তার বিধ্বংসী ইনিংস চেন্নাইয়ের হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে শুধু। ম্যাচের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে—কেন ধোনিকে এত দেরিতে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হলো?
তিন দিন পর, সোমবার সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন ফ্লেমিং। জানালেন, ধোনির হাঁটুর সমস্যা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। ২০২৩ সালে অস্ত্রোপচারের পরও পুরনো চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। এ কারণে ব্যাটিং পজিশন নির্ধারিত হচ্ছে তার ফিটনেস আর ম্যাচ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে।
ফ্লেমিং বলেন, ‘ধোনি নিজেই এটা বুঝতে পারে। তার হাঁটু আগের মতো নেই, যদিও সে এখনও ভালোই নড়াচড়া করছে। তবে টানা ১০ ওভার ব্যাট করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই পরিস্থিতি বুঝে সে ব্যাটিংয়ে নামবে। ম্যাচ যদি ব্যালেন্সে থাকে, তাহলে একটু আগে যাবে, আর যদি অন্যদের সুযোগ বেশি থাকে, তাহলে তাদের ওপর ভরসা করবে।’
ধোনিকে দেরিতে নামানো মানে কি তিনি দলের বোঝা হয়ে গেছেন? এই প্রশ্ন উঠতেই ফ্লেমিং সাফ জানিয়ে দিলেন, ধোনি এখনও চেন্নাইয়ের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তিনি বলেন, ‘আমি গত বছরও বলেছি, ধোনির মতো নেতা ও উইকেটকিপার আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে কখনোই ৯-১০ ওভার আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর কথা ভাবিনি। সাধারণত ১৩-১৪ ওভার থেকে সে ব্যাটিংয়ে নামার পরিকল্পনা করে, ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়।’
সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে, রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ধোনি ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন ৭ নম্বরে, ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে। তখন চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ২৫ বলে ৫৪ রান। তবে শুরুটা ভালো হয়নি, বিশেষ করে তার পুরনো সতীর্থ মাহিশ থিকশানার বলে ধুঁকেছেন তিনি। ১৮তম ওভারে মাত্র ৬ রান নিতে পারেন। তবে শেষদিকে তুষার দেশপান্ডের বলে এক ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। সেখানেই আবারও বিপর্যয়—সানদীপ শর্মার বলে উইকেট হারান ধোনি, ফলে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে হেরে যায় চেন্নাই।