ভোক্তাদের সুবিধার্থে নওগাঁয় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ বাজারে (সিও অফিস) ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি শুরু হয়। কেজিতে ৯০-১০০ টাকা কমে মাংস পেয়ে খুশি নিম্নআয়ের মানুষ।
উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় গেটের বামপাশে (সিও অফিস) খোলা হয়েছে ন্যায্যমূল্যের দোকান। দোকানটি রাস্তার উত্তরপাশে অবস্থিত।
গত ২৩ নভেম্বর ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। বাজার তুলনায় এ দোকানে সাশ্রয়ী মূল্যে আলু, পেঁয়াজ এবং ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এ দোকানে গরুর মাংসের পাশাপাশি নতুন আলু ও পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৫ টাকা হালি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ দোকান।
ক্রেতারা জানান, বাজারে গরুর মাংস ৬৯০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আধাকেজির নিচে মাংস পাওয়া যায় না। সেখানে ন্যায্যমূল্যের দোকানে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস কেনা যাচ্ছে।
চকমুক্তার মহল্লার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সানাউল্লাহ বলেন, ‘খুচরা বাজারে বরাবরই মাংসের দাম বেশি থাকে। এজন্য মুরগি খাওয়া হলেও গরুর মাংস তেমন একটা কেনা হয় না। দাম কিছুটা কম পেয়ে এককেজি কিনেছি। চর্বিটা একটু বেশি হলেও মাংস মোটামুটি ভালো। এমন উদ্যোগ নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য সুবিধা হয়েছে।’
নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম রবিন শীষ বলেন, ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু হওয়ার পর সুবিধা পাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের পাশাপাশি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস বিক্রি হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি এবং সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস কিনতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, এ দোকান থেকে সচেতনামূলক কিছু বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে। পলিথিন ব্যবহার নিরুসাহিত করতে বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। কেউ চাইলেও পলিথিনে পণ্য বিক্রি করা হবে না।
আরমান হোসেন রুমন/এসআর/এএসএম