নখের ভেতরে ময়লা থাকলে কি ফরজ গোসল হবে?

1 month ago 10

গোসল অর্থ হচ্ছে পুরো শরীর পানি দিয়ে ধোওয়া। সাধারণত প্রতিদিনই বা নিয়মিত আমরা গোসল করে থাকি। কিছু কারণ ঘটলে গোসল করা ফরজ হয়ে যায়। ফরজ গোসলের সময় কুলি করা, নাকি পানি দেওয়া ও পুরো শরীর ভালোভাবে ধৌত করা ফরজ। নাকে পানি না পৌঁছলে বা কুলি না করলে ফরজ গোসল সম্পন্ন হয় না। ফরজ গোসলের সময় শরীরের বাহ্যিক সব জায়গায় পানি পৌঁছা জরুরি। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

وَ اِنۡ كُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوۡا

যদি তোমরা অপবিত্র হও তাহলে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করো। (সুরা মায়েদা: ৬)

নখের ভেতরে যে ময়লা সাধারণত জমে থাকে, তা নখের ভেতরে পানি পৌঁছতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই এ ধরনের ময়লা থাকা অবস্থায়ও অজু-গোসল শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নখের ভেতরে যদি এমন ময়লা জমে, যা ভেদ করে ভেতরে পানি পৌঁছতে পারে না, তাহলে সেটি পরিষ্কার করে নেওয়া আবশ্যক। অন্যথায় এ ময়লা থাকা অবস্থায় অজু-গোসল হবে না।

উল্লেখ্য যে, নিয়মিত নখ কাটা সুন্নত। নখ বড় রাখা সুন্নতের খেলাফ। নখের ভেতর ময়লা জমে থাকা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই নখ বড় হলেই তা কেটে ফেলা উচিত। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

‏ الْفِطْرَةُ خَمْسٌ - أَوْ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ - الْخِتَانُ وَالاِسْتِحْدَادُ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ وَنَتْفُ الإِبْطِ وَقَصُّ الشَّارِبِ

পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত; খতনা করা, নাভির নিচের পশম কাটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ ছাঁটা। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়

১. পুরুষ অথবা নারী ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায় যে কোনো কারণে উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়।
২. স্বপ্নদোষ হলে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি কাপড়ে বীর্যের চিহ্ন দেখা যায় তাহলে গোসল করতে হবে।
৩. স্বামী স্ত্রী শারীরিকভাবে মিলিত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। মিলন প্রাথমিক অবস্থায় থাকলেও বা বির্যপাত না হলেও গোসল ফরজ হয়ে যায়।
৪. নারীদের মাসিক বা হায়েজ শেষ হলে গোসল করে পবিত্র হতে হয়।
৫. নারীদের নেফাস বা সন্তান জন্মদান পরবর্তী রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হতে হয়।

ওএফএফ/জিকেএস

Read Entire Article