বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, অতীতের ফ্যাসিস্ট কায়দায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিসহ শোষণ চলছে। নতুন বাংলাদেশে আর কোনো শোষণ চলবে না। অচিরে এ অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সুফল জনগণ পাবে না।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়ার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আয়োজনে ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। যে অপরাধ করে তার চোখের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। এক্ষেত্রে আমিও যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে অকপটে তা বলতে হবে যে-আপনি ভুল করছেন। তা না হলে আমি নিজেই তো ফ্যাসিস্ট হয়ে যাবো।
আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, দ্বীপ হাতিয়ায় সন্ত্রাসের গডফাদার মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে শাসন করাতো শেখ হাসিনা। আর মোহাম্মদ আলী করতো শোষণ। তার নির্দেশ ছাড়া এখানে একটি গাছের পাতাও নড়তো না। তার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলায় বহু লোকও হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ দ্বীপে কারো কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। কেউ ফেসবুকে পোস্ট দিলে বাধার সৃষ্টি করা হতো। বিএনপির অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে হাঁটু ভেঙে দেওয়া হতো। আমি শুনেছি এখনো কেউ নাকি এসব করেন। তাহলে তো আপনারাই মোহাম্মদ আলীর উত্তরসূরি। আমরা আর অতীতে ফেরত যেতে চাই না।
মাসউদ বলেন, ড. ইউনূস আমাদের যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, সে স্বপ্ন আমরা নিজেরাও দেখবো। যেখানে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস থাকবে না। নির্ভয়ে পথ চলতে পারবো। আর অনিয়ম যেখানে থাকবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই। যেখানে দলমত নির্বিশেষ সবাই একসঙ্গে রাজনীতি করবে। যে বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াত, ডান দল বাম দল সবই থাকবে। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে পথ চলবে। কোথাও কোনো বাধা থাকবে না।
সমাবেশে আব্দুল হান্নান মাসউদের বাবা আবদুল মালেক, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ রিটনের বাবা আবুল কালাম, বুড়িরচর আহাম্মদিয়া আলিম মাদরাসা সহকারী শিক্ষক রাজ বিহারী, হাতিয়া উপজেলা মার্কেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসানসহ স্থানীয় সুধীজনরা বক্তব্য রাখেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জিকেএস