রাজধানীর পৃথক চার থানার পাঁচ মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জাসদের সভাপতি এবং সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। এসব মামলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত ও আহতের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সচিব জাহাংগীর আলম, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হাসানুল হক ইনুকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। তেজগাঁও থানার কারওয়ান বাজার এলাকায় রমিজ উদ্দিন রুপ হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, জাহাংগীর আলম, জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>
মোহাম্মদপুর থানার মো. আল শাহরিয়ার হোসেন হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মিরপুরে শিশু মিজানুর রহমান হত্যা মামলা ও আজাদ হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
এর আগে ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে জাহাংগীর আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেএ/এসআইটি/জেআইএম