আজকাল অন্যতম প্রয়োজনীয় গ্যাজেট হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ল্যাপটপ। পড়াশোনার জন্য হোক বা অফিসের কাজের সূত্রে অনেককেই ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হতে হয়। ডেস্কটপ তো সঙ্গে করে নেওয়া সম্ভব না, এজন্যই মূলত ল্যাপটপ এতো বেশি জনপ্রিয়।
তবে যদি নতুন ল্যাপটপ কিনতে চান বা কেনার পরিকল্পনা থাকে তাহলে ৬টি বিষয় মাথায় রাখুন। জেনে নিন সেসব-
প্রসেসর
ল্যাপটপের গতির জন্য প্রসেসর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টেল কোর আই৫ বা আই৭, অথবা এএমডি রেইজন ৫ বা রেইজন ৭ প্রসেসর সাধারণত ভালো পারফরম্যান্স দেয়। হালকা কাজের জন্য আই৩ বা রেইজন ৩ হলেও চলতে পারে, কিন্তু হেভি গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর বেছে নেওয়া ভালো।
র্যাম
মাল্টিটাস্কিং এবং দ্রুত গতির কাজের জন্য পর্যাপ্ত র্যাম থাকা জরুরি। ৮ জিবি র্যাম সাধারণ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট, তবে হেভি অ্যাপ্লিকেশন বা গেমিং এর জন্য ১৬ জিবি বা তার বেশি র্যাম বেছে নিলে ভালো।
স্টোরেজ টাইপ এবং ক্যাপাসিটি
এসএসডি এবং এইচডিডি স্টোরেজের দুটি ভিন্ন ধরণ। এসএসডি স্টোরেজ দ্রুতগতির এবং প্রায়ই দ্রুত বুটিং এবং ডাটা লোডিং সুবিধা দেয়। তাই ২৫৬ জিবি বা ৫১২ জিবি এসএসডি এবং অতিরিক্ত জায়গার জন্য ১ টেরাবাইট এইচডিডি রাখা যেতে পারে।
ডিসপ্লে রেজোলিউশন এবং সাইজ
কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে স্ক্রিন সাইজ এবং রেজোলিউশন বেছে নেওয়া দরকার। সাধারণ ব্যবহারের জন্য ১৩ থেকে ১৫ ইঞ্চি স্ক্রিন ভালো, এবং ফুল এইচডি (১৯২০x১০৮০) রেজোলিউশন হলে ভালো হয়। যদি গ্রাফিক্সের কাজ বেশি করতে হয়, তাহলে উচ্চ রেজোলিউশনের স্ক্রিন উপযুক্ত।
গ্রাফিক্স কার্ড
গেমিং, ভিডিও এডিটিং, বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাফিক্স কার্ড থাকা ভালো। সাধারণ কাজের জন্য ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স কার্ড যথেষ্ট।
ব্যাটারি লাইফ
দীর্ঘ সময়ের ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যাটারি লাইফ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। যারা অনেক সময় বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ৮-১০ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ সুবিধাজনক।
কেএসকে/জিকেএস