নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শপথ নিচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুপুর দেড়টায় শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে। শপথ পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির নির্দেশে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব তহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আরও পড়ুন
- নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন
- সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার করবো: সিইসি
- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে তরুণদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য কমিশনাররা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
গত ৩১ অক্টোবর ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে সরকার।
আরও পড়ুন
- বিতর্কিত ভোট কেন, সাবেক তিন সিইসির কাছে জানতে চাইতে পারে কমিশন
- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত
- শিগগির নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে অনাস্থা তৈরি হতে পারে
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ছয় সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক হন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। নাম প্রস্তাব করার জন্য কমিটিকে ১৫ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়।
অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে। তাদের দেওয়া তালিকা থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এফএইচএমএমএআর/এমএস