নব নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

1 hour ago 2

ছিন্নমূল বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বর্তমান নেতারা।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান জানান, নিয়ম মেনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জড়িত একটি প্রভাবশালী চক্র নির্বাচনে অংশ না নিয়ে পরে কমিটি বাতিলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, আক্তার হোসেন দেওয়ান, মোক্তার হোসেন দেওয়ান, আব্দুল লতিফ দেওয়ান ও বাতিলকৃত সদস্য আব্দুর রব প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকার অনিয়ম করেছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা ও তদন্ত চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক মাদবর। এ সময় সহ-সভাপতি মো. ইসহাক জোমাদ্দার, কোষাধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হাসেন রনি, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হাসেন মোলা, আয়েশা বেগমসহ সাধারণ সদস্যসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হাফিজুর রহমান জানান, বিগত ২৮ এপ্রিল ২০২২ সালে ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ২৯ এপ্রিল নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা বসে। তবে ২৭ এপ্রিল ২০২৫-এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে নতুন নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে সমিতির কার্যক্রম ব্যাহত হলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উপ-সহকারী নিবন্ধক মো. আইন উদ্দীনকে সভাপতি করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়। তাদের দায়িত্ব ছিল ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা।

সমবায় সমিতি আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচনের সব ধাপ নির্বাচন বিজ্ঞপ্তি জারি, বিশেষ সাধারণ সভা, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচন কমিটি গঠন, মনোনয়নপত্র বিতরণ ও বাছাই, নিয়মমাফিক সম্পন্ন করা হয় বলে দাবি করেন হাফিজুর রহমান।

তিনি অভিযোগ করেন, সমিতির অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎকারী কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় অংশ না নিয়ে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচিত কমিটি বাতিলের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে আক্তার হোসেন দেওয়ান, মোক্তার হোসেন দেওয়ান, আব্দুল লতিফ দেওয়ান এবং বাতিলকৃত সদস্য আব্দুর রব ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার অনিয়ম করেছেন। তাদের অনিয়ম এর অভিযোগ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে যেখানে অনিয়ম প্রমাণিত এবং পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।

এসময় সমিতির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সমিতির সম্পদ আত্মসাৎকারী একটি চক্র সমিতির বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে। তারা দাবি করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর এবং বাংলাদেশ যুবলীগের সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আক্তার হোসেন দেওয়ান, মোক্তার হোসেন দেওয়ান, আব্দুল লতিফ দেওয়ান এবং বাতিলকৃত সদস্য আব্দুর রব দেওয়ান নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্লিপ্ত থাকেন। নির্বাচনে অনিবার্যভাবে পরাজিত হবেন এই আশঙ্কায় তারা নির্বাচন এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচিত কমিটি বাতিলের অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।"

ইএআর/এসএনআর/এএসএম

Read Entire Article